অবাঞ্ছিত লোম বলতে যে সকল লোম আমাদের প্রত্যাশিত নয়, এ ধরনের লোমকে আমরা বুঝে থাকি। আমাদের বগলের নিচে থাকা লোম, আমাদের অভ্যন্তরীণ শরীরে অবাঞ্ছিত লোম সাধারণত হয়ে থাকে। অথবা হরমোনজনিত কারণে নারীদের শরীরের বিভিন্ন অংশে অবাঞ্ছিত লোম দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে মেয়েদের মুখে, পিঠে, পায়ে অতিরিক্ত লোম সৌন্দর্য প্রকাশে দারুণভাবে বিঘ্ন ঘটায় । তাই যে কোনো উপায়ে আমরা এই ধরনের লোম দূর করতে চায়।
চলুন দেখে নিই,
অবাঞ্ছিত লোম দূর করার টিপসঃ
প্রথমে যে টিপসটি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব এই টিপসটি কিন্তু প্রাচীনকাল থেকে আমাদের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর তাহলো চিনি এবং লেবুর মিশ্রণ।
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার এই পদ্ধতির নাম হল ‘সুগারিং’। এই ‘সুগারিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে গোড়া থেকে লোম দূর করা যায় ,আর এই পদ্ধতি ব্যবহারে পর নতুন করে লোম উঠার সময় লোমের পরিমাণ কমে যায় ।
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- ২ কাপ চিনি
- ১/২ ( আধা) কাপ পানি
- ১/২ ( আধা) কাপ লেবুর রস
প্রস্তুত প্রণালীঃ
একটি পরিষ্কার পাত্রে সবগুলো উপাদান একসাথে দিয়ে হালকা আঁচে গরম করতে থাকুন।
যখন এটি গরম হয়ে আসবে তখন নাড়ানি দিয়ে হালকা নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না উপাদান গুলো মিশে ঘন হয়ে আসে।
এটি ঘন হয়ে আসলে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
যখন এটি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে তখন আপনারা আপনাদের শরীরের যে অংশে অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে চান সেই অংশে এটিকে লাগান। এটি লাগাবার সময় লোম যেদিকে বের হয় তার উল্টো দিকে লাগাতে হবে ।
এটি লাগানোর পরে লোমের উল্টোদিকে এটিকে টেনে তুলে নিন। এর সাথে সাথে লোমগুলো চলে আসবে আর লোম ছিড়ে যাবার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না এবং লোম একেবারে গোড়া হতে উঠে গিয়ে অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়ে যাবে ।
যন্ত্রণার পরিমাণঃ
লোম পরিস্কার করার জন্য অনেকে রেজার , বাজারের ক্রিম ও ওয়াক্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করি।
‘সুগারিং’ এ রেজার ও বাজারের ক্রিম ব্যবহার এর তুলনায় যন্ত্রণার পরিমাণ সামান্য বেশি আর ওয়াক্সিং এর তুলনায় যন্ত্রণার পরিমাণ অনেক কম।
নোটঃ
এটি লাগানোর সময় হাত অথবা কাঠির সাহায্যে লাগাতে পারেন। এটি লাগানোর আগে গরম রয়েছে কিনা তা চেক করে নেবেন , না হলে শরীর পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকবে।
একটু সময় নিয়ে আমাদের দেওয়া টিপস যদি আপনারা এপ্লাই করতে পারেন, তাহলে আপনারা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী অবাঞ্চিত লোমগুলোকে দূর করে ফেলতে পারবেন। এবং পরবর্তী সময়ে লোমগুলো আসতে অনেকটা সময় নিবে।
নিয়মিত ভাবে এই টিপস এপ্লাই করতে থাকলে একসময় লোমের পরিমাণ কমতে থাকবে যা দীর্ঘস্থায়ীভাবে চিরতরে অবাঞ্ছিত লোম আপনার শরীর থেকে গায়েব হয়ে যাবে।