সাধারণত হলুদ কে আমরা মসলা হিসেবে জানলে ও এর অবস্তান শুধু রান্নাঘরে আটকে নাই। অনেক আগে থেকে রূপচর্চার জন্য হলুদ ব্যবহার করে আসছে। রূপচর্চার জন্য হলুদের উপর আপনারা ভরসা করতে পারেন।কিন্তু ব্যবহারের সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে হলুদ সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা ঠিক না, হলুদের সাথে কোন উপাদান মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করবেন।হলুদে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নাই।
ত্বককে ফর্সা করতে ও ত্বকের যত্নে হলুদের উপকারিতা:
১.যে কোন ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করতে হলুদের সাথে ময়দা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।এটি ত্বকের জন্য বেশ সংবেদনশীল ও উপকারী।এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল কমায়।
২.ব্রণ দূর করতে হলুদের সাথে নিমের পাউডার, চন্দনের গুঁড়া এবং মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে হলুদ।
৩.লোমকোপের তেল দূর করতে সাহায্য করে হলুদ।চন্দনের গুঁড়া,কমলা,মালটারর রসের সাথে অল্প করো হলুদ মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে তা লোমকূপের তেল দূর করে ত্বক কে স্বাভাবিক ও উজ্জ্বল করে তুলে।
৪. প্রদাহরোধী উপাদানের ভালো উৎস যা ত্বকের জন্য উপকারী।হলুদ বা চন্দনের তৈরি মাক্স ত্বকের দাগ ছোপসহ অন্যান্য সমস্যা দূর করে।
৫.হলুদের সাথে ঘৃতকুমারী দিয়ে প্যাক তৈরি তা মুখের মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে।
৬.দুধের সাথে হলুদের গুড়া মিশিয়ে খেলে চেহারার উজ্জ্বলতা আসে এবং রক্ত পরিষ্কার হয়।দুধের সরের সাথে অল্প হলুদ ত্বকে মিশিয়ে ও লাগাতে পারে এতে করে ত্বক নমনীয় হয়।হলুদ দীর্ঘদিন সংগ্রহ করে রাখতে চাইলে তা অবশ্যই ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।হলুদ গুঁড়া করেও আবার শুকাতে হবে।এই বিষয় টা খেয়াল রাখতে হবে ত্বকে শুধু হলুদ লাগিয়ে রোদে গেলে তা বার্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাই হলুদের সাথে কোন কিছু মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
৭.ব্রণের সমস্যা দূর করতে কাচা হলুদ,টক দইই এবং নিমপাতা মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে তা মুখে লাগাতে পারেন এতে করে ব্রণ দূর হয়ে যাবে।স্বাভাবিক ত্বকে হলুদ,দুধ ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
৮.লেবুর রসে রয়েছে ব্লিচিং উপাদান এবং হলুদে আছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান।ত্বক উজ্জ্বল করতে হলুদের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে।
৯.ত্বকের ভেতরের আদ্রর্তা রক্ষা করে উজ্জ্বল ত্বক ফুটিয়ে তুলতে হলুদ আর মধুর মিশ্রণ সাহায্য করে। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক আদ্র রাখার ক্ষমতা যা ত্বক উজ্জ্বল করে।মধু ও হলুদের তৈরি প্যাক ত্বকে স্বাভাবিক রাখে এবং চকচকে সুন্দর করে তোলে।
১০.ত্বকের অতিরিক্ত লোমের বৃদ্ধি কমাতে প্রতিদিন হলুদ আর পানির মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।যে স্থানের অতিরিক্ত লোমের বৃদ্ধি কমাতে চান সেখানে হলুদ আর পানির মিশ্রণ তৈরি করে অসমতল পরিষ্কার বস্তুর সাহায্যে ঘষতে হবে।শুকিয়ে এলে তা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।পার্থক্য দেখতে যতবার সম্ভব তত বার করে দেখবেন।
১১.হলুদ ও নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এছাড়া নারকেলের তেল খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। খাটি তেলের সাথে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লালচেদন,ও শুষ্কতা কমাতে ব্যবহার করা যায়।ত্বক পরিষ্কার করে মুছতে পাতলা ভেজা কাপড় ব্যবহার করলে ত্বককে বেশ প্রাণবন্ত লাগবে।
ত্বকের জন্য কোন কিছু বেশি ব্যবহার করা ঠিক না এতে করে ত্বকের স্বাভাবিক তেলটা নষ্ট হয়ে যায়।সপ্তাহে বেশি কোন প্যাক ব্যবহার করলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।তাই আমরা ত্বকে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখতে উপরোক্ত ফেইস প্যাক সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করবো।