ত্বকের যত্নে আমরা কত কিছু ব্যবহার করে থাকি তা যদি ঘরোয়া কোন উপকরণ দিয়ে তৈরি ফেইসপ্যাকের মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায় তাহলে কথা ও নাই।
আদা আমাদের রান্নাঘরে খুবই গুরূত্বপূর্ণ উপাদান।রান্নার কাজের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে আদা দারুণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকের যত্নে এই ব্যবহার আপনাকে অভাক করলে এটি ব্রণ সহ ত্বকের সব সমস্যা দূর করবে ।
যে কোন সমস্যা থেকে ত্বককে বাচাঁতে পারে এক টুকরা আদা। আদা আমাদের ভেতর থেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি খুব সুন্দর ভাবে ত্বক আর চুলকে ভালো রাখে। ত্বকের যত্নে কাঁচা আদার ব্যবহার অন্যান্য। আদা ব্যবহার করে আমরা খুবই উপকৃত হতে পারি। তাই কোন দুঃচিন্তা না করে আদা ত্বকে ব্যবহার করে দেখুন ।
ত্বকের কুঁচকে যাওয়া আটকায়:
১ কাপ গরম পানিতে ৪ টেবিল চামচ আদা কুচি দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। এই পানি ঠান্ডা হওয়ার পর খেতে থাকুন। এতে করে ত্বকের কুঁচকে যাওয়া রোধ হবে।
এছাড়াও শীতকালে আমাদের ত্বকের উপর বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন দেখা যায়। এর মধ্যে কুঁচকে যাওয়া অন্যতম।শীতে আমাদের সকলের ত্বক কম বেশি কুঁচকে যায়।শীতে রক্ত ঘন হয়ে যায় তাই শরীর সব জায়গায় রক্ত সমান ভাবে পৌছাতে পারে না।
মুখেও পৌছাতে পারে না যার কারণে ত্বক কুঁচকে যায়। আদার এই পানীয় খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই উপরোক্ত নিয়মে আমাদের প্রতিদিন আদা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে আমরা কুঁচকে যাওয়া দূর করে পারবো।
পোড়া দাগ দূর:
রোদে চলাফেলা করার ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন পোড়া দাগ দেখা যায়।এই দাগগুলো আদার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। যেকোন দাগ দূর করতে আদা অন্যতম।আদাকে তেতলা করে তার থেকে রস বের করে খালি পেটে প্রতিনিয়ত খেতে থাকুন।
আবার আদার রস পোড়া দাগের স্থানে ঘষতে পারেন।৪ থেকে ১২ সপ্তাহ করে দেখুন। এতে করে আপনার সমস্যা দূর হবে।
ব্রণ দূর করতে:
ব্রণের সমস্যা খুবই বড় সমস্যা এই ব্রণকে মেয়েরা বেশি ভয় পাই। তাই ব্রণ দূর করতে অনেক চেষ্টা করে অনেক দামী দামী ফেইস প্যাক ব্যবহার করে থাকে।কিন্তু খুব সহজে আদার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
ব্রণ মূলত হয় ব্যাকটেরিয়া থেকে আর আদায় থাকা অ্যান্টি -ব্যাকটেরিয়াল ব্রণ দূর করলে সাহায্য করে।জ্বালা পোড়া কমাতেও সাহায্য করে।আদার রস করে খালি পেটে খেলে তা খেতে থাকুন।আর তার সাথে এক টুকরা হাল্কা করে ব্রণের ঘষতে থাকুন। এতে করে ভালো ফল পাবেন নিয়ম করে আদার ব্যবহার করুন।
১ চামচ আদার গুড়োর সাথে, ১ চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান।
যতক্ষণ না একটা মসৃণ পেস্ট না পায় ততক্ষণ পর্যন্ত মেশাতে থাকুন।
ব্রণ প্রভাবিত এলাকায় মিশ্রণ টি লাগান এবং ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।ব্রণকে সম্পূর্ণ রূপে দূর করতে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
বয়সের ছাপ হতে দেয় না:
কাজের চাপ,ব্যস্ততা এই সবের কারণে খুব অল্প বয়সে মুখে বাধ্যর্কের ছাপ পড়তে থাকে।অনেক কিছু মেখে ফল পাওয়া যায় না পেলে ও তা সাময়িক ফল পেতে পারেন।স্থায়ী সমাধান পাবেন না এতে করে আপনি কাচা আদার সাহায্য নিতে পারেন।
আদা ব্যবহার করতে পারেন। আদার মধ্যে থাকে অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট উপাদান যা টক্সিন বের করে দেয় এবং মুখে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ায়। যার ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে পারে না । তাই ত্বক সবসময় ইয়াং থাকে ।
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়:
১ কাপ তরল দুধ , ২ টেবিল চামচ আদা বাটা, ও ১ টেবিল চামচ ময়দা নিন।
ভালো ভাবে মিশ্রণ টি মিশাতে থাকুন।সেলুলাইট প্রভাবিত এলাকায় সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন।
২০ মিনিট এই অবস্তায় রাখুন এবং পরে ঠান্ডা পানি ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের সৌন্দর্য সবসময় বজায় থাকবে ।
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় আদার জুড়ি মেলা ভার।আদার ব্যবহার ত্বকের যত্নে কতটা কার্যকারী উপরোক্ত দেখলেন তো?তাই,অনায়াসে আপনারা আদাকে আপনার প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের লিস্টে রাখতে পারেন।