বাঁচার জন্য প্রত্যেক নারীর জানা খুব প্রয়োজন জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ

প্রিয় বন্ধুরা…..

আজকে একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি বিষয়টি হল জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণগুলো।

 জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ

বন্ধুরা জরায়ু বিষয়টি অনেক বেশী সেনসিটিভ প্রতিটি মানুষের কাছে। সমাজে এই নিয়ে কথা বলাটা কে অনেকে দৃষ্টিকটু মনে করে। কিন্তু বন্ধুরা প্রত্যেকটা বিষয়ে সচেতন থাকা আমাদের দরকার।

কারণ প্রত্যেকটা বিষয়ে সচেতন হওয়া মানে নিজের শরীরকে সুরক্ষিত রাখা।

তাই আমাদের উচিত আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটা বিষয় সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া। আর জরায়ুর মত গোপন বিষয় সম্পর্কে সচেতন হওয়া তো রীতিমত আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

 জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ

বন্ধুরা তাহলে জেনে নিব কোন কোন লক্ষণ গুলো দেখলে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে…………

জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণঃ

 জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ

বন্ধুরা আমরা যদি জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ বুঝতে পারি তাহলে প্রাথমিক স্টেজে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে।আর আমরা যদি জরায়ুর লক্ষণ সম্পর্কে কোন জ্ঞানই না রাখি তাহলে জরায়ুর ক্যান্সার ফাইনালে স্টেজে গিয়ে যখন পৌঁছাবে তখনই আমরা বুঝতে পারব। তখন আমাদের হাতে আর কোনো কিছুই করার থাকবেনা।

তাহলে বন্ধুরা আসুন আমরা জেনে নেই কোন কোন লক্ষণ গুলো দেখলে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারবো আমাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে।

১। পেট ব্যাথা

জরায়ুতে ক্যান্সার হলে প্রচন্ড রকমের পেট ব্যাথা শুরু হয়।

 জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ

স্বাভাবিকভাবে আমাদের যদি পেট ব্যাথা হয় আমরা ঘরোয়া ভাবে বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট করলে পেট ব্যাথা সেরে যায়। কিন্তু জরায়ুতে ক্যান্সারের কারণে যে পেট ব্যাথা হবে সেগুলো সাধারন কোন মেডিসিন বা ঘরোয়া কোনো টোটকা তে সারবে না।

 জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ

যখনই ছাড়বে না এবং এটা যখন নিয়মিত থাকবে তখনই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার জরায়ুতে সমস্যা হয়েছে।যা জরায়ু ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

২। রক্তক্ষরণ

রক্তক্ষরণ অর্থাৎ আমাদের জরায়ু দিয়ে তখনই শুধু রক্ত যায় যখন আমরা পিরিয়ডের সময় পার করি অর্থাৎ যখন আমাদের মাসিক হয়।  কিন্তু জরায়ুতে ক্যান্সার হলে মাসিক বা পিরিয়ড এর সময় ছাড়াও অনবরত রক্ত যেতে থাকে।

 জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ

এবং রক্তের ফ্লো মাঝে মাঝে কণায় পরিণত হয়। তখনই আমরা বুঝতে পারবো আমাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে।

৩। প্রচণ্ড রকমের ক্ষুধা লাগা

প্রচণ্ড রকমের ক্ষুধা লাগা। হঠাৎ করেই আমাদের ক্ষুধা লেগে যায়। আবার খাবার এর পরপরই ক্ষুদা লাগতে পারে।

 প্রত্যেক নারীর জানা খুব প্রয়োজন জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ

অসময়ে খুদা লাগতে পারে এমনকি রাতে যখন আমরা ঘুমাই গভীর রাতে আমাদের ক্ষুদায় ঘুম ভেঙ্গে যায় তখনই আমাদের বুঝতে হবে আমাদের জরায়ুতে কোন সমস্যা হয়েছে এবং এ সমস্যা অবশ্য ক্যান্সারের মতো গুরুতর।

৪।  লিকুরিয়া

বন্ধুরা পিরিয়ডের দুই-তিনদিন আগে ও দুই তিনদিন পরে স্বাভাবিকভাবে আমাদের লিকুরিয়া যায়। কিন্তু জরায়ুর ক্যান্সার হলে যে লিকুরিয়া তার ধরন সম্পূর্ণ ভিন্ন। জরায়ুতে ক্যান্সার হলে লিকুরিয়া যাবে একেবারে পাতলা পাতলা অর্থাৎ খুব বেশি তরল লিকুরিয়া যাবে।  কিছুদিন যাওয়ার পরে লিকুরিয়া অনেক বেশি দুর্গন্ধ হবে। তখনই আমরা বুঝতে পারবো আমাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে।

এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভাল অতিরিক্ত লিকুরিয়া যাওয়ার ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। সারাদিন অবসাদ অনুভব করবে কারণ লিকুরিয়া মধ্য দিয়ে শরীরের ক্যালসিয়াম আয়রন বা খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায় যা ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তিকে দুর্বল করে দেয়।

৫। সহবাসের সময় জরায়ুতে ব্যথা

 প্রত্যেক নারীর জানা খুব প্রয়োজন জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ

বন্ধুরা জরায়ুতে ক্যান্সার এর লক্ষণ এর মধ্যে আরো একটি অন্যতম হলো যখন আমরা আমাদের সঙ্গিনীদের সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হবো তখন আমাদের খুব বেশি ব্যাথা করবে এবং রক্তক্ষরণ হবে।

৬। সহবাসে অনীহা

সঙ্গিনীদের সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হলে যদি জরায়ুতে খুব বেশি ব্যাথা করে  এবং রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে বুঝতে হবে জরায়ুতে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে মহিলারা সহজে যৌন মিলনের আগ্রহ প্রকাশ করে না।

 জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ

এতে করে তার সঙ্গিনীর তার প্রতি বিরূপ ধারণা চলে আসে। এতে করে দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি হয়।

৭। পেট ফুলে যাওয়া

এছাড়াও যে লক্ষণটি মধ্য দিয়ে আমরা বুঝব আমাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে সেটি হলো আমাদের পেট ব্যথার সাথে সাথে পেট ফুলে যাওয়া এবং পেট বড় হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ এত বেশি ব্যথা হবে পেটে যে আমরা বসা থেকে উঠতে পারবো না .

 জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ

এবং পেট ফুলে যাবে তখনই আমাদের বুঝতে হবে আমাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে।

বন্ধুরা উপরে যে কারণগুলো আমরা বললাম এই কারণগুলো অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায় জরায়ুতে ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।

তাই এই ধরনের লক্ষণগুলো যদি কোন মহিলাদের মধ্যে আমরা দেখতে পাই তখন আমাদের খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং যথোপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।