আজকে বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা কিভাবে আমাদের করা উচিত।জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা করার আগে যে বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো আমাদের টিউমার এখন কোন স্টেজে আছে বা কোন পর্যায়ে আছে।
এর গঠন কেমন,এবং এই টিউমার আমাদের কি কি ক্ষতি করতেছে…………
- টিওমার যদি প্রাথমিক স্তরে থাকে তাহলে এর আকারে ছোট থাকে এবং এটি যদি আমাদের খুব বেশি কোন দৈনিন্দিন জীবনে প্রভাব না ফেলে তাহলে এই নিয়ে মাথাব্যাথা করার কোনো কারণ নেই। কারণ জরায়ুতে এরকম অনেক টিউমার থাকে যেগুলো দীর্ঘদিন থাকার পরেও আমাদের তেমন কোন ক্ষতি করেনা।
- এরপরে আসা যাক যদি টিউমার দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্টেজ এ চলে এসেছে বা আকার বড় হয়ে গেছে এবং এগুলো আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে ব্যাঘাত করতেছে। যেমন ধরুন আমাদের বাচ্চা প্রজনন এ সমস্যা করতেছে এবং অনিয়মিত পিরিয়ড এর জন্য দায়ী। তাহলে অবশ্যই আমাদের চিকিৎসা নেওয়া জরুরী এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এই ক্ষেত্রে ডাক্তাররা যে সকল পরামর্শ দিয়ে থাকে সে সকল আমরা আজকে আমাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবো।
জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা কিভাবে করবেনঃ
তাহলে বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক, যখন কোন জরায়ু টিউমারের রোগী ডাক্তারের কাছে যায় তখন কোন ধরনের পরামর্শগুলো ডাক্তার দিয়ে থাকে…………
১। প্রথমত যদি রোগীর বয়স খুব কম হয় অর্থাৎ প্রজনন ক্ষমতায় থাকে তাহলে ডাক্তারেরা অপারেশন বা অস্ত্রোপচার করার কোন কথাই ভাবে না। কারণ এ সময় কোনো ধরনের প্রচার করার মানেই হলো পরবর্তীতে সন্তান জন্ম নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা সৃষ্টি করে।
তাই ডাক্তারেরা প্রাথমিক স্তরে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ মেডিসিন এর মাধ্যমে নিরাময়ের চেষ্টা করে। কিন্তু যদি বয়স ৪০ বছরের উপরে চলে যায় তখন ডাক্তরেরা অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমারের নিরাময় করে ফেলে।
কিন্তু বয়স যদি কম হয়ে যায়, তখন বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে তা নিরাময় করার চেষ্টা করা হয়।
২। এই টিউমার যদি ওষুধ ছাড়া কোনভাবেই নিরাময় করা না হয় এবং সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় সে ক্ষেত্রে আর কোন অপশন না দেখে ডাক্তারেরা অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়,
৩। কিন্তু এক্ষেত্রে বন্ধুরা হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই অস্ত্রোপচার করলে জরায়ুতে সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ থেকে যায় অর্থাৎ অস্ত্র পাচার করার পরেও আপনাদের ভাগ্য যদি ভালো হয়ে থাকে আমাদের অনেক বন্ধুরা এই অবস্থায় সন্তান লাভ করতে পারে।
তাহলে বন্ধুরা আপনারা এখন জেনে গেলেন জরায়ুতে টিউমার হলে এই চিকিৎসার পদ্ধতি গুলো কি রকম হয়।
যেহেতু জরায়ুতে যেকোনো ধরনের সমস্যা সন্তান ধারণ করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে সে ক্ষেত্রে আমাদের উচিত প্রতিটা স্টেজে অনেক সতর্ক থাকতে। যাতে কোনভাবে আমাদের জরায়ুতে কোনো সমস্যা না হয় যেটা আমাদের সন্তান লাভের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করবে।
বিভিন্নভাবে জরায়ু টিউমারের অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে উন্নত দেশে তো কোন ধরনের কাটাছিড়া না করে ও উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে জরায়ু টিউমার নিরসন করে।
কিন্তু আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত পেট কেটে বা জরায়ুতে অস্ত্রোপচার করে এই ধরনের টিউমার গুলো নিরসন করা হয়। যে পদ্ধতিতে করা হোক না কেন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে জরায়ুর অস্ত্রোপাচারের পরে সার্বক্ষণিক ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকতে।
কারণ জরায়ু জায়গাটা যেহেতু একটু সেন্সেটিভ। তাই যেকোনো ধরনের অপারেশন পরবর্তী ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যেখান থেকে আরো বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকে।
তাই আমাদের চিকিৎসা শুরু হওয়া থেকে শুরু করে ভালো না হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
ধন্যবাদ