আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি একটি চমৎকার সচেতনতা মূলক বিষয়। আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবেই আমার মেয়ে বন্ধুদের উদ্দেশ্যে করা।
যে সকল বন্ধুদের জরায়ু সমস্যা অর্থাৎ যাদের জরায়ু অবস্থান থেকে সরে গেছে তাদের জন্যে আজকে আমার এই বিষয়টি অর্থাৎ আজকের বিষয়টি হলো একটা মেয়ে কখন বুঝবে তার জরায়ু নিচে নেমে গেছে এবং কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
আমাদেরকে প্রথমে জানতে হবে আমার জরায়ু নেমে গেছে এটা ঠিক কিনাএবং জরায়ু নেমে এখন কোন ধাপে রয়েছে।
বন্ধুরা,
ডাক্তারদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে জরায়ু নেমে যাওয়ার ধাপ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথমে আমাদের জানতে হবে আমার জরায়ু যদি নিচের দিকে নেমে গিয়ে থাকে, যদি আমরা সেটা বুঝতে পারি আমাদেরকে আরো যে জিনিসটি জানতে হবে সেটি হলো আমার জরায়ু নেমে গিয়ে এখন কোন ধাপে রয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে জরায়ু নেমে যাওয়ার এই ধাপ তিনটি স্টেজে ভাগ করেছে।
১।
জরায়ুর মুখ তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে কিছুটা নিচে নেমে আসে কিন্তু যোনীছিদ্রের একেবারে বাইরে অবস্থান করে না
২। জরায়ু-মুখ যোনীছিদ্রের বাইরে বের হয়ে আসে কিন্তু জরায়ুর বেশিরভাগ অংশই ভিতরে থেকে যায়। এটি সবসময় বের হয়ে আসে না। কাশি দিলে বা প্রস্রাব করতে গেলে তা বের হয়ে আসে, এমনকি বের হলেও হাত দিয়ে ঢুকিয়ে ফেলা যায়।
৩।
জরায়ু মুখ তার অবস্থান থেকে সম্পূর্ণরূপে বাইরে বের হয়ে আসে এবং আর ভিতরে ঢুকানো যায় না । ফলে প্রস্রাব পায়খানা করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেলে অপারেশন করা অতি জরুরী হয়ে দাঁড়ায়।
এখন আসা যাক সেই প্রসঙ্গে অর্থাৎ আমার বন্ধুরা কখন এই বিষয়টি নিয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন বা ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা জরুরী বলে মনে করবেন।
উপরের যেকোন সমস্যা অনুভব করলে অর্থাৎ জরায়ু নিচের দিকে নেমে এসেছে সেটা আপনি যদি বুঝতে পারেন,
তাহলে আপনার কাছে বিষয়টি খোলাসা হয়ে যাবে। বিশেষ করে যদি জরায়ুর মুখ আংশিক বা সম্পূর্ণ বের হয়ে আসে।
বন্ধুরা উপরের তিনটি ধাপের মধ্যে স্বভাবত তিন নাম্বার ধাপে এসেই মেয়েরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকে। কারণ তখন আর কোন উপায় থাকেনা।
তিন নাম্বার স্টেজ হল সবচেয়ে হায়েস্ট স্টেজ। যদি কোন মহিলা এ পর্যায়ে এসে পড়ে তখন সে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বাধ্য হয়। কারণ তখন প্রস্রাব বা পায়খানা করতে তার অনেক বেশি ব্যাথা হয়। তাছাড়া হাঁটতে বা চলাচল করত তার অনেক সমস্যা হয়।
কিন্তু আমাদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া টা অনেক বেশি জরুরী প্রথম স্টেজে। কারণ প্রথম স্টেজে যদি আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় অথবা আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি তাহলে আমরা নিজেরাই এর চিকিৎসা করে ফেলতে পারবো।
কিন্তু বন্ধুরা আমার অনেক বন্ধুদের কাছে এই বিষয়গুলো স্পষ্ট কোনো জ্ঞান থাকেনা যার কারণে জরায়ু প্রথম স্টেজ থেকে ধাপে ধাপে তৃতীয় ধাপে চলে আসে।
প্রথম স্টেজে যদি কোন মেয়ে বুঝতে পারে তার জরায়ুর পজিশন থেকে সরে এসেছে তখনই তার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ ডাক্তারের পরামর্শ নিলে সমস্যাটা আর দীর্ঘায়িত হয় না।
এক্ষেত্রে যে কারণটি সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় সেটি হল অসচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব। মেয়েরা প্রথমে এটা বুঝতে পারে না তার জরায়ু নিচের দিকে নেমে এসেছে।
কিন্তু আমরা যে সকল কারণগুলো আমাদের আগের পেজে শেয়ার করেছি অর্থাৎ কখন একটা মেয়ে বুঝতে পারে তার জরায়ু নিচের দিকে নেমে এসেছে এই জ্ঞান যদি আমার বন্ধুদের থাকে তাহলে আমার বন্ধুরা প্রথম স্টেজে বুঝতে পারবে তার জরায়ু পজিশন থেকে সরে গেছে।
তাহলে আমার বন্ধুরা খুব সহজে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারবে এবং ডাক্তারের পরামর্শমতো কাজ করতে পারবে।
বন্ধুরা আমরা যে উপরে এতক্ষণ ধরে আপনাদের সাথে এত পরামর্শ শেয়ার করলাম তার একটি মাত্র কারণ সেটি হল আপনাদেরকে সচেতন করে তোলা।
আপনাদের কাছে যদি জরায়ু সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে তাহলে জরায়ুতে যত ধরনের রোগ হয় তা আপনারা নিজ জ্ঞানে দূর করতে পারবেন।