জরায়ু ক্যান্সার কি??? ও এর কারন

আসসালামুয়ালাইকুম, আপনারা কি জানেন জরায়ু ক্যান্সার কি বা কেন হয়??????????

আজ এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনাদের কাছে বলব।  বন্ধুরা,

তাহলে প্রথমেই জেনে নিই জরায়ু ক্যান্সার কি??????  

সাধারণত এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারকে জরায়ু ক্যান্সার বলা হয়। কারণ এটি সাধারণত জরায়ুতে হয়। এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার বা জরায়ু ক্যান্সার হলো এক ধরনের ক্যান্সার যা  জরায়ু নালীতে শুরু হয় এবং যার আকৃতি  হলো নাশপাতি আকৃতির।জরায়ুতে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হয়। কিন্তু সব ক্যান্সার এত বেশি ভয়াবহ রুপ লাভ করতে পারেনা। শুধুমাত্র এই এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার এর কোষগুলো জরায়ুতে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। অন্যান্য অনেক ধরনের ক্যান্সার জরায়ুতে তৈরি হতে পারে তবে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার খুব কম দেখা যায়। যার কারণে অন্যান্য জরায়ুর ক্যান্সার কে জরায়ু ক্যান্সার বলা হয় না। শুধুমাত্র এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারকে জরায়ুর ক্যান্সার বলা হয়ে থাকে।

বন্ধুরা,

জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ বিদ্যমান।

তার মধ্য থেকে আমরা উল্লেখযোগ্য কারণ গুলো আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি।

জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার কারণ

জরায়ুর সবচেয়ে নিচের অংশ হলো জরায়ুমুখ যা প্রসাবের পথ।যা  যোনিতে গিয়ে মিশেছে। জরায়ুর বিভিন্ন অংশের মধ্যে এই অংশে ক্যান্সারের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে।

  • অতিরিক্ত সাদাস্রাব
  • দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব
  • অতিরিক্ত অথবা অনিয়মিত রক্তস্রাব

এছাড়া আরো যে কারণগুলো জরায়ু ক্যান্সারের জন্য দায়ী তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো

১। মাসিকের সময় ও পরিষ্কার পরিছন্নতা অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব না থাকা।  

২। সব সময় পেন্টি পড়ে থাকা। বন্ধুরা আমাদের অনেকেরই এই অভ্যাসটি রয়েছে। আমরা সব সময় ঘরে-বাইরে পেন্টি পড়ে থাকি। শুধু পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিকভাবে আমরা পেন্টি পড়ে থাকব।  এটা জরায়ু ক্যান্সার রোধে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। কারণ আমরা সব সময় যখন পেন্টি পড়ে থাকি জরায়ুর মুখ দিয়ে আলো-বাতাস কোন কিছু প্রবেশ করতে পারে না। জরায়ুর মুখ এমনিতেই সব সময় ভিতরে থাকে। তার ওপর যদি কোনো ধরনের আলো বাতাস ঢুকতে না পারে তাহলে সে স্থানে বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ করতে পারে যা পরবর্তীতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩। যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জরায়ু টিউমার।  জরায়ুতে টিউমার হলে এবং এটি যখন লাস্ট স্টেজে যায়। তখন আর কোন মেডিসিনে কাজ হয় না। তখন অপারেশন করার দরকার হয়।  কিন্তু অপারেশন জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি কে অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়।  কারণ জরায়ুর টিউমার অপারেশন করার পর সেটা শুকানোর জন্য যে মেডিসিন দেওয়া হয় মেডিসিন খাওয়ার পরেও ভালোমতো শুকায় না।  এর কারণ হলো ওই কাটা-ছেড়া করা স্থানে যথেষ্ট আলো-বাতাস পৌঁছাতে পারে না। যার ফলে পরবর্তীতে ইনফেকশন হয়ে সেটা ক্যান্সারে রূপ লাভ করে।

এর পরে যেই বিষয়গুলো ক্যান্সারের কারণ এর জন্য দায়ী তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ

  • বিভিন্ন ধরনের জরায়ুতে সিস্ট হওয়া বা দানা জাতীয় জাতীয় কিছু হওয়া এগুলো পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপ লাভ করে।
  • এছাড়া আরো যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো ও বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার এবং ধ্যান ধারণা
  • এছাড়াও জরায়ু ক্যান্সারের জন্য আরও বিভিন্ন বিষয় যায়। যেমন  
  • ঘনঘন বাচ্চা নেওয়া জরায়ু ক্যান্সারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে।
  • এছাড়াও বাচ্চা হওয়ার পরের যে সময়গুলো খুব বেশি যত্ন নিয়ে হ্যান্ডেল করতে হয়। প্রতিটি মা তখন যদি কোন সচেতনতা অবলম্বন না করে পরবর্তীতে সেটা জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়।
  • সর্বশেষে যে কারণটি জরায়ু ক্যান্সারের জন্য দায়ী সেটি হল যারা এতে যেকোনো ধরনের অস্ত্রপাচার। অর্থাৎ জরায়ু যখন নিচের দিকে নেমে আসে তখন আর কোন উপায় না দেখে ডাক্তাররা জরায়ুর অপারেশন করে ফেলে। এতে করে পরবর্তীতে জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার খুব বেশি ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তাহলে বন্ধুরা, আমরা উপরে জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার যে কারন গুলো আপনাদেরকে বলে দিলাম আমরা আশা করব আপনারা আপনাদের

প্রতিটি পদক্ষেপে এমন কাজ করবেন যাতে করে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে আপনারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।

ধন্যবাদ বন্ধুরা