প্রিয় বন্ধুরা আজকে যে বিষয়টি শেয়ার করব সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং বিষয়টি হলো চিকিৎসাবিজ্ঞান জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে কি বলে………।
বিভিন্ন ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞরা জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে অনেক ধরনের মতবিরোধ মন্তব্য করলেও সবাই এর চিকিৎসার বিষয়ে যে বিষয়ে একমত হয়েছে সেটি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
জরায়ুর ক্যান্সার যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই আমি আশা করব আমার সকল বন্ধুরা আমাদের লিখা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। এবং নিজেদের জীবনে এর প্রভাব রাখবেন।
আজকের বিষয়টি হলো জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা
বন্ধুরা প্রাথমিকভাবে জরায়ুর ক্যান্সার নিরাময় যোগ্য হলেও ফাইনাল ধাপে গিয়ে জরায়ুর ক্যান্সার হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য ও অনিরাময়যোগ্য।
জরায়ুর ক্যান্সার ৯৫ ভাগ পর্যন্ত নিরাময়যোগ্য এই কথাটা একেবারে সত্য।
বন্ধুরা আমরা যদি জরায়ুর তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপে জরায়ু ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারি, তাহলে এর ৯৫ভাগ পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞান নিরাময়ের নিশ্চয়তা দিয়েছে।
কিন্তু এক্ষেত্রে একটি বড় দুঃখের বিষয় হলো যে আমাদের দেশের নারীরা সবচেয়ে বেশি জরায়ুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
কারন তারা যখন জরায়ুর ক্যান্সার বুঝতে পারে তখন তারা এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে চেষ্টা করে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।
কারণ জরায়ুর ক্যান্সার এর প্রথম দুই ধাপে তেমন কোন বাহ্যিক লক্ষন দেখা যায় না। যাতে করে ভিকটিম বা জরায়ুতে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতে পারবে যে তার জরায়ুতে ক্যান্সার হচ্ছে।
এছাড়া সামান্য ইন্টার্নাল বা অভ্যন্তরীন লক্ষন দেখা দিলেও তা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারা যায়।
কিন্তু একজন জরায়ুর ক্যান্সার রোগী যখন ভালোভাবে বুঝতে পারে যে তার জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে তখন কিন্তু অনেক দেরি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আর তেমন কিছুই করার থাকে না।
এইজন্য চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে যদি কোন নারীর জরায়ুতে ক্যান্সার হয়ে যায় এবং তার জন্য কোন সমাধান এর জন্য আসে বা সমাধানের দরকার হয় তখন ডাক্তারদের ও আর কিছু করার থাকেনা।
তখন এ বিষয়ে ডাক্তাররা হতাশ হয়ে বলে আমরা যত ধরনের জরায়ুর ক্যান্সার রোগী পায়, যখন তারা ৮০% ফাইনাল পর্যায়ে চলে যাওয়ার পরে তাদের সাথে শরণাপন্ন হয়।
যখন তাদের কাছে কেমোথেরাপি বা রেডিও থেরাপি দেওয়া ছাড়া আর কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
এই জন্য ডাক্তাররা বলে যদি আমাদের দেশের নারীরা একটু সচেতন হতো এবং জরায়ুর ক্যান্সার এর কারন গুলো সম্পর্কে অবগত থাকত তাহলে জরায়ু ক্যান্সার এ আক্রান্তের হার অনেকাংশে কমে যেত এবং তারা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিত, তাহলে ৯৫ ভাগ কমে যেত।
এই জন্য ডাক্তাররা জরায়ুর ক্যান্সারে জন্য যে ব্যবস্থা প্রদান করেন তা হল কেমোথেরাপি বা রেডিও থেরাপি দেওয়ার পাশাপাশি যে কাজটি ডাক্তারেরা করে সেটি হল অস্ত্রোপচার করে সম্পূর্ণ জরায়ু কেটে বাদ দিয়ে দেয়।
যা সম্পূর্ণভাবে একজন রোগীকে ক্যান্সার থেকে নিরাময় হতে নিশ্চয়তা প্রদান করেনা।
কারন জরায়ুতে অস্ত্রোপাচার মানে পুনরায় ইনফেকশন হওয়া।
কিন্তু বন্ধুরা এই ক্ষেত্রে ডাক্তাররা যে পরামর্শ দেয় সেটি হলো জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষন যেহেতু প্রাথমিকভাবে প্রকাশ পায় না তাই ডাক্তারেরা বলেন, প্রতিটি নারীর উচিত তিন বছর অন্তর অন্তর ভায়া পরীক্ষাটি দেওয়া।
ভায়া পরীক্ষা টির মধ্য দিয়ে জানা যায় কোন নারী ক্যান্সারের প্রাথমিক স্টেজে আছে কিনা। যদি এই ভায়া পরীক্ষাটি দিয়ে কোন নারী যদি বুঝতে পারে যে, সে ক্যান্সারের প্রাথমিক স্টেজে আছে তখন ডাক্তারেরা এর চিকিৎসার মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ নিরাময়ের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
তাহলে বন্ধুরা , জরায়ু ক্যান্সারের জন্য ডাক্তাররা আমাদের যে পরামর্শ প্রদান করলেন,
সেটি হল প্রথমে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর আমাদের জরায়ুর জন্য ভায়া পরীক্ষা দিতে হবে। এখন অবশ্য জরায়ু টিকা বের হয়েছে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি জরায়ু ক্যান্সার চিকিৎসার প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে সচেতনতা।
ধন্যবাদ