সব মেয়েদের জানা দরকার বয়সভেদে ঋতু স্রাবের পরিবর্তন

বয়সভেদে ঋতুস্রাব বা মাসিকের রক্তের ফ্লো এর কোন পরিবর্তন হয় কিনা……আপনারা কি জানেন ????

আজকে আমরা সেই বিষয়ে কথা বলব। এই বিষয়টি মেয়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ৮ থেকে ১৩ বছরের মেয়েদের প্রথম মাসিক হয়ে থাকে।

মাসিক চক্রের প্রথম ধাপ কে মেনেস্ট্রেশন বলা হয়। শারীরিক গঠন বেঁধে বা বয়সের তারতম্য অনেকের ৭ থেকে ৮ বছরে হয়ে যায়।  আবার অনেকের ১৮ বছর পর্যন্ত মাসিক শুরু নাও হতে পারে।

কিন্তু মাসিক শুরু হওয়ার ছয় থেকে বারো মাস আগে থেকেই এর কিছু লক্ষণ দেখতে পাবেন। তবে ১৭ বছরের পরেও যদি মাসিক না হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মাসিক শুরু হবার ক্ষেত্রে যেমন বয়সের তারতম্য থাকে তেমনি বয়সভেদে পিরিওডের কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে।

বয়সভেদে ঋতুস্রাব বা মাসিক এর পরিবর্তনঃ

চলুন এই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই। বয়সভেদে ঋতুস্রাবের পরিবর্তন সাধারণত ৮ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে শুরু হয় এবং ৪০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এর মাঝে বয়সভেদে অনেক ধরনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। ২০ বছরে  পিরিয়ডে এসে এটি অনিয়মিত হয়ে থাকে।

এছাড়া পেট ব্যাথা, ইরিটেশন এই বয়সে বেশি হয়ে থাকে।

পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়ার কারণে মেয়েদের আবার ২০ বছর বয়সে আরেকটি হরমোনাল পরিবর্তন দেখা যায়। এটি গর্ভনিরোধক বড়ি সেবনের কারণে হয়ে থাকে। মেয়েরা এই সময়ে সাধারণত বেশি গর্ভনিরোধের বডি সেবন করে থাকে যা হরমোনাল পরিবর্তনের পাশাপাশি পি এম এস এর লক্ষণগুলোকে বাডিয়ে দেয়। এটি করলে অনেক সময় অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা  হয়।  ৩০ বছর বয়সে সাধারণত পিরিওড স্বাভাবিক এবং নিয়মিত থাকে কিন্তু মাঝেমধ্যে পেট ভারী ভারী হয়ে যাওয়া, মারাত্মক তলপেট ব্যথা করে।  এই সময়ের পিরিওডের পরিবর্তন হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।  

এ সময় আরেকটি প্রধান পরিবর্তন হয় সন্তান প্রসবের সাথে। ৩০ বছর বয়সে বেশিরভাগ মেয়েরা সন্তান প্রসব করে থাকে। যার ফলে গর্ভাবস্থায় মেয়েদের মাসিক চক্রের পরিবর্তন হতে থাকে। তাছাড়া বাচ্চাকে স্তনদানের সাথে পিরিওডের পরিবর্তন হয়।  সাধারণত এই সময়ই পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে থাকে। সন্তান প্রসবের কারণে এই সময় মেয়েদের pm’s আরো পরিবর্তন হতে থাকে। ৪০ বছরের উপরে পিরিওড সাধারণত অনিয়মিত পিরিয়ড ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেয়।  তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি গর্ভবতী হতে পারবেন না।

এছাড়াও এ সময়ের মধ্যে আপনার pm’s উপসর্গগুলো আরো খারাপ হতে পারে। কারণ পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায়। তখন মেজাজ খারাপ হওয়া অতিরিক্ত দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই সমস্যাগুলো পি এম এস এর কারণে হয়ে থাকে। পিরিওড একটি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এতে লজ্জা পাবার কিছু নেই। তাছাড়া এতে গোপনীয়তা ও কিছু নেই।

পিরিয়ড চলাকালীন পরিবর্তনগুলো একেবারে স্বাভাবিক কিন্তু অতিরিক্ত পরিবর্তন দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।  কিন্তু ৪০ বছরের পরে ১৮ বছরের মেয়েদের মত যদি ব্লাড ফ্লো হয়। আর সেটা আমরা স্বাভাবিক মনে করি সেটা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

আবার অনেকেরই ৪৫ বছরের পর স্বাভাবিক থাকে, আবার অনেকের ৪৫ বছরের পরে গিয়ে আর পিরিওড হয়না।  এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়ম এবং শারীরিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করে।

তাই বন্ধুরা,

স্বাভাবিক যে সকল বিষয় পিরিয়ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এ সকল বিষয়ের জন্য আপনাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখা উচিত। আর তা না হলে অহেতুক আপনারা এসব বিষয়ে চিন্তা করে হতাশায় ভোগেন। তাহলে বন্ধুরা উপরে যে সকল বিষয় আজকে আপনাদের জন্য বলা হল এগুলো যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে পিরিয়ড  আপনাদের আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

ধন্যবাদ