বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির কারণে প্রতিটা তথ্য বা ইনফরমেশন খুব দ্রুত প্রত্যন্ত থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। তারই সুবিধাকে হাতে নিয়ে আজকে আমি এমন একটা তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, যা আমাদের মায়েদের জন্য খুবই জরুরী।
তাই শুধুমাত্র আপনাদের কে সচেতন করার উদ্দেশ্যে গাইনী সমস্যা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে চায়।
তাহলে বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন সমস্যা গুলোর কারণে গাইনী সমস্যা হতে পারে।
তাহলে বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক,
গাইনি জনিত সমস্যা গুলো কি কি ?????
গাইনি জনিত সমস্যা বলতে কোন কোন সমস্যা গুলোকে আমরা বুঝি। প্রথমে আসা যাক
১। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া
বন্ধুরা যখন আমরা প্রস্রাব করতে যায় তখন আমাদের প্রস্রাবের রাস্তায় অনেক বেশিই জ্বালাপোড়া করে। যার জন্য আমরা অনেক সময় বিরক্ত হয়ে প্রস্রাব আটকে রাখি। কারণ জানি প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালা-পোড়া করবে এই ভয়। কিন্তু এই আটকে রাখা থেকে আরও কত ধরনের সমস্যা আমরা সৃষ্টি করি।
প্রস্রাব আটকে রাখা মানে হচ্ছে কিডনিকে ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া। সাথে সাথে আরও অনেক ধরনের সমস্যা তলপেট ব্যথা থেকে শুরু করে।
২। জরায়ুতে সিস্ট হওয়া
দ্বিতীয় নাম্বার যে সমস্যাটি সেটি হল জরায়ুতে সিস্ট হওয়া। বন্ধুরা বিভিন্ন ধরনের অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে অথবা অন্য কোন কারণে জরায়ুতে সিস্ট হতে পারে। এই ধরনের সিস্ট যদি হয়ে থাকে তাহলে আমাদের তলপেটে প্রচন্ড রকমের ব্যাথা করবে। অনেক সময় পেট ফুলে যেতে পারে।
৩। জরায়ুতে টিউমার
তিন নাম্বার যে সমস্যাটি হল জরায়ুতে টিউমার। জরায়ুর প্রাচীরে গিয়ে অনেক সময় টিউমারের জন্ম হয়। এই ধরনের টিউমার যদি জরায়ুতে হয় তাহলে সন্তান জন্ম নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি বাধা চলে আসে। অনেক ক্ষেত্রে অল্প বয়সী মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়ে। যাতে করে তাদের সন্তান ধারণ করার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অনেক সময় এই সমস্যা দূর করার জন্য অনেকে অপারেশন করে। কিন্তু এই অপারেশন অনেক ক্ষেত্রে সফলতার মুখ দেখেনা। মুখ দেখে ক্যান্সারের।
বন্ধুরা টিউমার জরায়ুতে হলে সেটা অপারেশন করে নেওয়ার পরে অনেকের ক্ষেত্রেই এটা ক্যান্সারে রূপ নিয়ে জরায়ুতে ক্যান্সার হয়। আরেকটি প্রধান অসুবিধা জরায়ুতে ক্যান্সার হলে সেটা অল্প বয়সী মেয়েদের জন্য যেন একটা অভিশাপ। কারণ জরায়ুতে ক্যান্সার হলে সন্তান ধারণ করার ক্ষ্মতা কমে যায়।
৪। অনিয়মিত পিরিয়ড
এরপরে যে সমস্যাটি হতে পারে সেটি হল অনিয়মিত পিরিয়ড। বন্ধুরা অনিয়মিত পিরিয়ড অথবা পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্ত যাওয়া বা কম রক্ত যাওয়া ও গাইনি সমস্যার অন্তর্ভুক্ত।
রক্ত বেশি যাওয়া বা কম যাওয়া আমাদের শরীরের অস্বাভাবিক পরিবর্তন চলে আসে।
যেমন
- ওজন বেড়ে যেতে পারে আবার হঠাৎ করে কমে যেতে পারে এবং
- মেজাজ খিটখিটে থাকে সব সময় এতে করে আমাদের সঙ্গীদের সাথে যৌন মিলনে যে আগ্রহ সেটা হারিয়ে যায় এতে করে দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও আমাদের যোনিপথ ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে থাকায় বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের কারণে আমাদের যৌনিপথ চুলকায়। অতিরিক্ত চুলকানির কারণে সেখানে ঘা এর সৃষ্টি হতে পারে যা পরবর্তীতে বৃহৎ কোন রোগে রূপান্তর হতে পারে।
বন্ধুরা গাইনী সমস্যা অনেক ধরনের হতে পারে। তার মধ্যে যেগুলো খুব বড় আকারের এবং প্রতিটা মেয়ে কমবেশি হয়ে থাকে।আশা করব আপনারা এসব শুনার পর অনেক সচেতন হবেন।
ধন্যবাদ