প্রতিটি নারী জেনে নিন কোন ভুলের কারণে জরায়ু নিচের দিকে নেমে যায় । জরায়ু নিচের দিকে নেমে যাওয়ার কারণ

যে বিষয় টি আজ শেয়ার করতে যাচ্ছি……

বিষয়টি সম্পূর্ণ মেয়েদের কে কেন্দ্র করে। তাই আমার মেয়ে বন্ধুরা এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখবেন।

জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা

কারণ আজকে যে বিষয়টি আমরা বলব সেটি অত্যন্ত গোপনীয় একটি বিষয় মেয়েদের জন্য। এ বিষয়টি যেহেতু একটু গোপন তাই এ বিষয়ের উপর কোন সমস্যা হলে মেয়েরা সরাসরি কারো সাথে শেয়ার করতে চায় না।  

প্রাথমিকভাবে জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা

তাই আমার মেয়ে বন্ধুদের ভালোর জন্য আমি তাদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করছি যাতে করে এই বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত জ্ঞান আমার বন্ধুদের থাকে এবং এই বিষয়ে কোন সমস্যা হলে যাতে নিজেরাই এর সমাধান করতে পারে।

তাহলে বন্ধুরা,

আজ জেনে নেওয়া যাক সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে। বিষয়টি হলো,  জরায়ু কাকে বলে?????

কখন বুঝবেন জরায়ু নিচের দিকে নেমে গেছে

এবং কেন মেয়েদের জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে  

প্রথমে আমরা জরায়ু কাকে বলে সেটা জানবো। জরায়ু ইংরেজি থেকে এসেছে। একে ইউটেরাস বলা হয়।

ইউটেরাস মূলত একটি ল্যাটিন শব্দ।যা স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ। এটি মানুষ বা স্তন্যপায়ী স্ত্রী প্রাণী প্রজনন অঙ্গ।এটি জনন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হরমোন ক্ষরণের দ্বারা এর কার্যপ্রণালী নিয়ন্ত্রিত হয়।

কখন বুঝবেন জরায়ু নিচের দিকে নেমে গেছে

গর্ভধারণকালে ফিটাস জরায়ুর অভ্যন্তরে বিকশিত হয়। ইউটেরাস বা জরায়ু শব্দটি মূলত চিকিৎসা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অপরদিকে দৈনন্দিন ব্যবহারের শব্দটি ইংরেজিতে বহুবচনে ইউটেরাস বা ইউটিউব বলা হয়ে থাকে।

এখন আমরা জানবো………

কেন মেয়েদের জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে এর কারন

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এর কারন গুলো উদ্ভাবন করেছেন চলুন তা আমরা এক নজরে দেখে নিই।

১।

কিছু মাংসপেশী ও লিগামেন্ট জরায়ুকে নির্দিষ্ট জায়গায় ধরে রাখতে সাহায্য করে।

জন্মগতভাবে যদি কারো এই কাঠামো দুর্বল থাকে তবে এই সমস্যা হতে পারে অর্থাৎ জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসতে পারে।

২।

সন্তান প্রসবের সময় জরায়ুর মুখ সম্পূর্ণভাবে খোলার আগেই যদি অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হয় তাহলে এ চাপ সহ্য করতে না পেরে জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে।

 প্রসব ব্যাথা যদি ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় এবং প্রসবকালে জরায়ু নিচের দিকে চলে যায়।

৪।

প্রাথমিকভাবে জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা

এক সন্তান নেওয়ার পর স্বল্প বিরতিতে আরেক সন্তান নিলে দুই সন্তানের মধ্যে বয়সের ব্যবধান এক বছরের কম এমন হলে এই ঝুঁকি বেড়ে যায় অর্থাৎ জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জরায়ুর মাংসপেশি সহায়ক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে যার কারণে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে এসে জরায়ুর কাঠামো ছিড়ে যায় এবং জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে।

৬।

অনেকদিন ধরে কাশি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে বন্ধুরা যখন আমরা চাপ দেই তখন এর চাপ বা প্রেসার আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের উপর পড়ে এবং শরীরের যে যে কাঠামোগুলো দুর্বল থাকে তার উপর গিয়ে আরো বেশি আঘাত করে।

থাইরয়েড গ্রন্থি কি??

আমাদের শরীরে যতসব কাঠামো রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্বল জরায়ু। তাই আমরা যখন কাশি দিয়ে থাকি চাপ সরাসরি আমাদের জরায়ুতে ধাক্কা দেয়।

কখন বুঝবেন জরায়ু নিচের দিকে নেমে গেছে

অনেক ক্ষেত্রে জরায়ুত ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে পজিশন থেকে সরে আসে এবং নিচের দিকে নেমে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই। যখন আমাদের মলত্যাগের সময় আমরা অধিক বেশি চাপ দেই তখন জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে।

৭।

 প্রসব-পরবর্তী যত্ন সঠিক ভাবে না নিলে এবং ভারী জিনিস ওঠানামার কাজ করলে জরায়ু নিচের দিকে নেমে যায়।

বন্ধুরা উপরে যে কারণগুলো আমরা বললাম এই সকল কারণে জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে।

এখন কথা হল আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মেয়েরা যারা শিক্ষাক্ষেত্রে এত বেশি পিছিয়ে এবং প্রেকটিকেল বা হাতে কলমে শিক্ষায় যারা আরও বেশি আনাড়ি তাদের জন্য এই বিষয়টি বোঝা খুবই দুঃসাধ্য  হয়ে যায়।

অর্থাৎ তারা জরায়ু বলতে এত বেশি লজ্জা পায় যে নিজের শরীরের অঙ্গের প্রতি অত বেশি খেয়াল রাখে না।

বন্ধুরা এটা যেহেতু খুব বেশি গোপনিয়তা রক্ষা করার বিষয়। তাই আমাদেরকে এর যত্ন নিতে হবে।

তাই বন্ধুরা,……

আমাদের বুঝা উচিত প্রথমে আমাদের জরায়ুর পজিশনটা কিরকম।বা কখন আমরা বুঝব আমাদের জরায়ু নিচের দিকে নেমে গেছে।  আমরা যদি জরায়ুর প্রতি কোন খেয়াল না রাখি তাহলে আমরা বুঝতে পারবো না কখন আমাদের জরায়ু নিচের দিকে নেমে গেছে।

তাহলে বন্ধুরা দেখা যাক…………

কখন একটা মেয়ে বুজবতার জরায়ু তার পজিশন বা অবস্থান থেকে সরে গেছে

১। তলপেটে ও যোনিপথে কোন কিছু নিচের দিকে নেমে যাওয়ার মত অসস্তিকর অনুভূতি হলে।

২। মাসিকের পথে জরায়ু বের হয়ে এলে

কোমরের ব্যাথা দূর করার উপায়

৩। কোমরে ও সহবাসের সময় ব্যথা হলে

। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা প্রস্রাব হওয়ার মত অনুভুতি হওয়া।

৫। কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পায়খানা সম্পূর্ণ হয়নি বলে অনুভূত হলে।

৬। সাদাস্রাব হলে

বন্ধুরা উপরে যে বিষয়গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম,  আমি জানি এই সকল বিষয়গুলো আমার মেয়ে বন্ধুদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

জরায়ুর টিউমার হলে কি করবেন?

বন্ধুরা এ, ধরনের সমস্যা যদি হয়, আমাদের পজিশন ফাইনান্সিয়াল পজিশন অত বেশি ভালো না যে একটু থেকে একটু সমস্যা হলে আমরা চেকআপ করবো বা ডাক্তারের কাছে যাব।

তাই আমরা যদি প্রাথমিক অবজারভেশন আমরা নিজেরাই করতে পারি তাহলে আমরা এই রোগ থেকে অনেকাংশে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে পারব।