যে সকল খাবার খেলে মায়েদের বুকের দুধ বাড়ে

আজ একটি জনসচেতনতা মূলক বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, বিষয়টি হল কিভাবে মায়েদের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে বাচ্চারা পাবে অর্থাৎ কীভাবে বা কোন কোন খাবার খেলে মেয়েদের স্তনে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ থাকবে।

যে সকল খাবার খেলে মায়েদের বুকের দুধ বাড়ে

এখন দেখে নেওয়া যাক কেন আমাদেরকে মায়ের দুধ খেতে হবে অর্থাৎ মায়ের বিকল্প কোনো কিছু আমরা কি খেতে পারব কিনা। এটা সবাই জানে শিশু কালীন সময়ে মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই।

বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার

তাই যেকোন উপায়ে আমাদেরকে মায়ের দুধ পান করতে হবে। বাচ্চারা যাতে মায়ের দুধ নিয়মিতভাবে পান করতে পারে এবং চাহিদামত মায়ের কাছ থেকে দুধ পায় মায়েদের উচিত সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মায়ের বুকের দুধের অভাবে শিশুর বিকল্প খাবার

কৃত্রিমভাবে যতই বাজারজাত দুধপান করান না কেন তাতে ফলাফল শূন্যই আসে। তাই যেভাবেই হোক যত কষ্টই হোক মায়েদের উচিত বাচ্ছাদের কে বুকের দুধ পান করানো।

এখন কথা হচ্ছে বুকে যদি পর্যাপ্ত দুধ না থাকে তাহলে কি বাচ্চাদের কে দুধ খাওয়ানো যাবে না?????

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

বন্ধুদের জন্য এই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো বুকের দুধ বাচ্চারা নাও পাই তারপরেও বাচ্চাদেরকে মায়ের বুকের দুধ চুষতে দেওয়া।

কারণ বাচ্চারা যত বেশি মায়ের দুধ চুষবে এতে করে মায়ের বুকের দুধ উৎপাদিত হবে। কিন্তু বাচ্চারা যদি একেবারে দুধ চোষা বন্ধ করে দেয় তাহলে মায়ের বুকে দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে।  

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

এখন কথা হল অনেকগুলা কারণে মায়ের বুকের দুধ চুষলেও পর্যাপ্ত দুধ বাচ্চারা পায় না।

তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব ,

কোন কোন খাবারগুলো খেলে মায়ের বুকের দুধ বাড়ে

১। পানিঃ

যে সকল খাবার খেলে মায়েদের বুকের দুধ বাড়ে

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রচুর পানি যদি না পান করে থাকে তাহলে প্রাকৃতিক ভাবে মায়ের বুকে দুধ উৎপাদন হবে।

২। গরম দুধের সাথে হলুদ গুড়াঃ

যে প্রক্রিয়াটি সেটি হল গরম দুধ খেতে হবে। প্রতিটা মাকে প্রসূতি অবস্থায় এক গ্লাস গরম দুধের সাথে কিছুটা হলুদ গুড়া মিক্স করে প্রতি রাতে পান করতে হবে।

 বুকের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ

প্রতিরাতে এভাবে পান করতে থাকলেই মায়েদের বুকে প্রাকৃতিক ভাবে দুধ উৎপাদন শুরু হয়।

৩। কালোজিরাঃ

 বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালোজিরা

কালোজিরা হল হাজার রোগের প্রতিষেধক। ১০০০ ধরনের রোগের কাজ করে। একইভাবে প্রসূতি অবস্থার কালিজিরা খেতে পারলে মায়েদের বুকের দুধ উৎপাদনের প্রক্রিয়া বেড়ে যায় এবং বাচ্চারাও তাদের সন্তুষ্ট মত দুধ খেতে পারে।


বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালোজিরা

কালজিরা সরাসরি খতে না পারলে রান্না করার সময় তরকারিতে দিয়ে খেতে পারেন ।

৪। মেথীঃ

বুকের দুধ বৃদ্ধিতে মেথি

মেথীতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি তে অনেক বেশী কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন সকালে ৭-৮ টি মেথি পানি দিয়ে খেয়ে নিবেন ।

বুকের দুধ বৃদ্ধিতে মেথি

এটি মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর সাথে সাথে এসিডিটির ঔষদ হিসেবে কাজ করবে ।

৫। রসুনঃ

বুকের দুধ বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ

প্রতিদিন প্রসূতি মা যদি খালি পেটে রসুন খেতে পারে অথবা পানিতে রসুনের কোয়া সিদ্ধ করে পানির সাথে ম্যাস করে খেতে পারে তাহলে বাচ্চারা খুব বেশি দুধ পায়।

৬। গরম দুধের সাথে দারুচিনির গুড়াঃ

দুধ প্যাকেটজাত হবেনা। গরুর দুধ সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। প্রসূতি মাকে গরুর দুধের সাথে ১ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে এবং প্রতিদিন এক গ্লাস করে এই মিশ্রণটি পান করতে হবে।

বুকের দুধ বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ

এটি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, যা বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি খুব বেশি

৭। তুলসী পাতাঃ

তুলসী তে রয়েছে ভিটামিন কে।

এই তুলসি পাতা পানি তে নিয়ে গরম করে খেলে মায়েদের শরীরে ভিটামিন কে এর ঘাঠতি পূরণ হবে। যা মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে। সাথে সাথে দুধের মান উন্নত করে।

তাহলে বন্ধুরা,  

উপরে যেই সকল খাদ্যের নাম আমরা বললাম এই সকল খাদ্য যদি কোন মা দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার সাথে যোগ করে নেয়।তাহলেই সব প্রসূতি মায়ের দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ উৎপাদন হবে এবং বাচ্চারা পেট ভরে তাদের চাহিদা মতো মায়ের দুধ পান করতে পারবে।

একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন মায়ের দুধের বিকল্প কোনো কিছুতেই হয় না। মায়ের বুকের দুধের অভাবে শিশুদের মানসিক বিকাশ যেমন হবে না তেমনি শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। শারীরিক বিকাশ যদিও আমরা ঠিক করতে পারি,

কিন্তু মানসিক বিকাশ কোন কিছুতেই আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়।

মায়ের বুকের দুধের যেহেতু কোনো বিকল্প নেই,

বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার
বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার

তাই এই দুধ উৎপাদন করতে যে কোন প্রক্রিয়া অবলম্বনে কার্পণ্য হওয়া আমাদের উচিত নয়। তাহলে বন্ধুরা, আমরা আশা করব আমাদের দেওয়া উপদেশ বা পরামর্শ গুলো আপনারা অনুসরণ করবেন এবং আপনাদের কাজে লাগাবেন।