৫ মিনিটে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি । পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

মেয়েদের পিরিয়ডের সময় কম বেশি সবার ব্যথা হয় । এই সময় আমরা অনেকে বুঝতে পারিনা কি করলে আমাদের ব্যথা কমবে।

৫ মিনিটে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি

পিরিয়ডের সময় যখন আমাদের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণা হয় তখন আমাদের কি করা উচিত?

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এইভাবে যদি আমাদের অস্বাভাবিক যন্ত্রণা পিরিয়ডের সময় হয়, তাহলে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে তার সমাধান করতে পারি।

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

চলুন পদ্ধতি গুলো দেখে নিই।

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায়ঃ

  • পদ্ধতি -১

আদিকাল থেকে মেয়েরা তাদের পিরিওডের যন্ত্রণা দূর করার জন্য যেটা করে আসছে, সেটি হল গরম পানির বা গরম কোন কিছু দিয়ে সেঁক দেওয়া

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

মাসিকের সময় প্রচন্ড তলপেট যদি ব্যাথা হয় আর এই তল পেট ব্যথায় গরম জলের সেঁক নিলে পেট ব্যথায় বেশ আরাম পাওয়া যায় এবং কিছুটা কম অনুভূত হয় এই ব্যাথা। তাই গরম জলে সেঁক দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হট ওয়াটার ব্যাগ।

হট ওয়াটার ব্যাগ কোথায় পাবেনঃ

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

যে কোন ঔষুধের দোকানে পেয়ে যাবেন এই হট ওয়াটার ব্যাগ।

  • পদ্ধতি -২

ভিটামিন যুক্ত খাবার মাসিকের ব্যাথা কমাতে কিছু বিশেষ ভিটামিন ভূমিকা রাখে। আর তাই যারা মাসিকের সময় পেট ব্যথার যন্ত্রণায় ভোগেন তারা সবসময় ভিটামিন যুক্ত খাবার অর্থাৎ চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, বাঁধাকপি, কলা ইত্যাদি।

দ্রুত উপায়ে ওজন কমানোর উপায়

ভিটামিন b1 যেমন মাছ,  ডিম,  সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি এই ধরনের খাবার গুলো নেওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো খেলে পেশী সংকোচন জনিত মাসিকের ব্যাথা থেকে অনেকটাই আপনি মুক্তি পাবেন।

  • পদ্ধতি -৩

মাসিকের সময় শরীর মাসাজ করিয়ে নিন ভাল কোন পার্লারে গিয়ে।  অথবা মাসাজে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে। কারণ মাসিকের সময় পুরো শরীর মাসাজ করে নিলে শরীর শীতল থাকে এবং তলপেট ব্যথা কিছুটা কম হয়।

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

ফলে মাসিকের সময় প্রশান্তি পাওয়া যায়।

এছাড়াও নিচের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারেনঃ

১। আর একটি কার্যকরী উপাদান যেটা আমরা হয়তো অনেকেই জানি না সেটি হল ল্যাভেন্ডার তেলতলপেট ব্যথার সময় কয়েক ফোঁটা পেটে দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করুন। ব্যথা তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

২। দারুচিনি ও ব্যবহার করা যায়। আপনারা জানেন কি দারুচিনি ব্যাথা কমাতে কতটা উপযোগী। বস্তুত বলতে গেলে প্রাকৃতিক সব ধরনের ভেষজ অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

এক গ্লাস গরম জলে একটুখানি দারুচিনির গুঁড়ো যদি আপনি মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এবং সেটা যদি দিনে তিনবেলা করতে পারেন তাহলে আপনি ভাল একটি উপকার পাবেন।

৩। পিরিয়ডের সময় দেহে জলের অভাব দেখা যায় তাই এই সময় জল বেশি করে পান করুন

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

জল জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি করে। আর প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার খেতে হবে আপনাকে।

৪। এছাড়াও একরকম বিশেষ পদ্ধতি আছে, স্নান করার সময় এটি করতে পারেন। সেটি হল একটি বড় জায়গায় গরম জল নিয়ে তার মধ্যে কোমরডুবি তিন থেকে চার মিনিট বসে আবার ঠান্ডা জলের একটি জায়গায় আরো দুই-তিন মিনিট বসে থাকতে হবয়ে। এভাবে আধঘন্টা করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে জল যেন খুব গরম না হয়। হালকা গরম হয়।

৫। শোবার ধরনের উপরও আপনার ব্যথা দূর করার কিছুটা উপায় রয়েছে অর্থাৎ মাসিকের সময় বিভিন্ন অবস্থানে শুয়ে থাকলে অনেক সময় কিছুটা সাময়িক আরাম পাওয়া যায়। এই অবস্থা একেক জনের জন্য একেক রকম।

 পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

অর্থাৎ একেক জন একেক ভাবে নিজেকে একটু আরাম দিতে পারে। তবে সাধারণত পাশ ফিরে শুয়ে হাটু ভাজ করে বুকের কাছাকাছি এনে শুয়ে থাকলে মাসিকের সময় একটু প্রশান্তি পাওয়া যায়।

৬। পিরিয়ডের সমইয় মনোযোগ সরিয়ে নিতে হবে অর্থাৎ পেট ব্যাথা শুরু হলে অন্য যেকোন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে।

পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর উপায়

 যেমন ধরুন আপনার পিরিয়ড চলতেছে কিন্তু আপনি ঘরে বসে না থেকে আপনার দৈনন্দিন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন।

যেমন আপনার অফিস থাকলে আপনি অফিসে চলে যেতে পারেন।

 যেমন ধরুন আপনার পিরিয়ড চলতেছে কিন্তু আপনি ঘরে বসে না থেকে আপনার দৈনন্দিন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন।

স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে সেখানে চলে যেতে পারেন, এতে করে আপনার মনোযোগ অন্য দিকে সরে যায় এবং আপনি পেট ব্যথা কম অনুভব করবেন।

এখন বন্ধুরা প্রাকৃতিক ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যতগুলো উপাদানের মাধ্যমে নিজেদের পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে পারা যায় সব উপকরণই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর উপায়

এর মধ্য থেকে যেটি আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।