যেভাবে মাত্র এক মাসে ১০-১৫ কেজি ওজন কমাতে সহায়তা করবে মধু

মধু এমন একটি প্রাকৃতিক অর্থাৎ আল্লাহর দেয়া নেয়ামত যার গুণের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। কোন গুণটি নেই এই মধুর মধ্যে। কিন্তু আমরা ওদিকে আর যাব না। আজকে আমরা শুধু মধুর ওজন কমানোর থিম সেটি নিয়ে আলোচনা করব।

 ওজন কমানোর উপায়

আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেভাবে মাত্র এক মাসে ১০-১৫ কেজি ওজন কমাতে মধু সহায়তা করবে ।

তাহলে বন্ধুরা, এখন দেখা যাক এই মধু কিভাবে আমাদের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে।

মেয়েদের ওজন কমানোর উপায়

মধু যেভাবে ওজন কমাবেঃ

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র তিন সপ্তাহে আপনি আপনার বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন। শুধু কোনো জটিল চিকিৎসাপদ্ধতির সাহায্য ছাড়া।

ঘুমাতে যাবার আগে নিয়মিত মধু খাওয়া নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে মাইক বলেছেন,

ওজন কমানোর টিপস

মধু খেলে পাকস্থলি থেকে বাড়তি গ্লুকোজ তৈরি হয় আর এ কারণে মস্তিষ্কের সুগার লেভেল বেড়ে যায় যা মেদ কমানোর হরমোন নিঃসরণ এর জন্য রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করে।ফলে মেদ কমানোর সুযোগ তৈরি হয়।

অবশ্য মধুর উপকারিতা পেতে বা মধুকে নিয়ে কাজ করতে চাইলে যা করতে হবে,

তার মধ্যে রয়েছে প্রতিদিনের সব ধরনের প্রয়োজনীয় চিনি গ্রহণ এর পরিবর্তে মধু গ্রহণ করা।

যেমন পরিবর্তন চা বা কফিতে।

এমনকি খাবারেও অন্তত যেসব খাবারে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করা।

এর পাশাপাশি যা করতে হবে সেটা হচ্ছে রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত ৩ চা চামচ মধু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে।

ত্বক ফর্সা করার উপায়

এই মধু রাতে ঘুমানোর সময় খেলে একসময় মেদ কমানোর হরমোন নিঃসরণের নির্দেশ দিবে। আর নির্দেশ দেওয়ার জন্য মস্তিষ্ক তখন রীতিমত প্রস্তুত। কেননা সেখানে সুগার লেভেল তখন বেড়ে গেছে ।

নিয়মিত মধু খাওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু কাজ করতে হবে আপনাকে।

যা আপনি নিশ্চিত আনন্দের সঙ্গে করবেন।

মধু খেলে ওজন কমে

ওজন কমানোর আর যা করবেন এর মধ্যে আপনার প্রতিদিনের শর্করার চাহিদা থেকে চিনিকে বাদ দিয়ে ফেলুন। সেখানে নিয়ে আসুন মধু।

এর পাশাপাশি কৃত্রিম মিষ্টি উপাদান বাদ দিয়ে খাবার খাওয়া যাবে না। অর্থাৎ মুখরোচক খাবার গুলা কিন্তু আমরা রেস্টুরেন্টে গেলে কোনটা ছেড়ে কোনটা খাব আমরা বুঝে উঠতে পারিনা।

কিন্তু এটি আপনার রক্তের সমস্যা বাড়াবে। ব্লাড সুগারের মাত্রা বারবে।

লম্বা হওয়ার কার্যকরী কৌশল

প্রোটিন খান কিন্তু হিসাব করে খান। খাবারের মধ্যে থাকা প্রোটিন আপনার জন্য দরকার কিন্তু তা হিসাব মত। এক্ষেত্রে হিসাব করে খাবার খেলে মাথার মধ্যে প্রোটিন গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।

ফল খাওয়া ভালো কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে অধিকাংশ ফলে চিনি বা শর্করার মাত্রা অনেক বেশি যা আপনার মধু ডায়েটের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। ফল আহার হিসাবমতো করলেই চলবে।

ওজন কমাতে মধুর উপকারিতা

এক্ষেত্রে আলু বাদ দিয়ে দিন সব ধরনের খাবার থেকে।  আলু বর্জন করুন, এসব আপনার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে।

নোটঃ

এটি এমন একটি উপাদান যার মধ্যে সব গুণ হচ্ছে ভালো। কিন্তু এখন আমাদের এই যুগের সবচেয়ে যে সমস্যা সেটা হল খাঁটি মধু পাওয়া যায়না। যেহেতু মধু আমাদের বড় প্রাকৃতিক অবদান তাই মধুর মধ্যে কোন ধরনের খারাপ কোনো কিছুই নেই।

ওজন কমানোর উপায়

কিন্তু মানুষ এই খাটি মধুর সাথে বিভিন্ন ধরনের চিনি এবং অন্যান্য কিছু মিক্স করে এর গুনাগুন নষ্ট করে ফেলে। তাই এখন সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় হল খাঁটি মধু সংগ্রহ করা।

বন্ধুরা মধু যেহেতু একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এর গুনাগুন টাও হবে শত ভাগ খাঁটি। তাই বন্ধুরা মধুর গুনাগুন এর উপর নির্ভর করে আপনারা আমাদের দেওয়া এই উপকরণগুলো যদি ব্যবহার করে দেখেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণের কৌশল

তাহলে আপনারা হাতের কাছে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন পাবেন অর্থাৎ আপনাদের বাড়তি ওজন আপনারা এই মধুর মধ্য দিয়ে কমিয়ে ফেলতে পারবেন।

ধন্যবাদ