কিভাবে মেয়েরা তাদের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে??? এটা একটা সার্বজনীন সমস্যা।
কারন আমরা সবাই জানি বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ওজন বাড়ে আর শরীরের শেইপ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
তার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে বড় যে কারণগুলো সেগুলো আমাদের প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে।
তারপরে আমরা যাব কিভাবে আমাদের দেশের মহিলারা বা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের মহিলারা খুব দ্রুত নিজেদের ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবে??
প্রথমে জানা যাক সে কারণগুলো। যেসব কারণে আমাদের দেশের বা বিভিন্ন দেশের মেয়েদের ওজন তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
এক নাম্বার
যে কারণটি, সেটি হল ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা কম পরিশ্রম করে।
আমি কিন্তু একবারে ও মেয়েদের কাজ কে ছোট করে দেখছি না। আমি বলতে চাচ্ছি মেয়েরা ঘরে বসে কাজ করে তার মানে কিন্তু তারা কম কাজ করেনা তারা কিন্তু ছেলেদের তুলনায় আরো বেশি কাজ করে।
কিন্তু তাদের পরিশ্রম করার ধরণটা একটু অন্যরকম অর্থাৎ তারা যখন কাজ করে তখন তারা অলস ভাবে কাজ করে। যেমন রান্নার সময় যখন তারা কাজ করে তখন বসে কাজ করে।
দ্বিতীয় নাম্বার
যে কারণটি রয়েছে সেটি হলো মেয়েদের সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে।
অল্পবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে অলসতার বিষয়টি
অল্প বয়সী মেয়েরা অলসতার কারণে নিজেদের এক্সারসাইজ ঠিকমতো করে না।
তারা তাদের শরীরের সৌন্দর্য সম্পূর্ন ভাবে প্রকৃতির উপর ছেড়ে দেয়। আর প্রকৃতি তাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে।
তাই মেয়েরা যখন এক্সারসাইজ না করে তখন আমাদের দেশের বা সব দেশের মেয়েদের শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
তিন নাম্বার
যে বিষয়টি হলো আবহাওয়া
আবহাওয়া ও আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। গরম আবহাওয়া দেশের মানুষেরা কষ্ট করতে পারে কম যার কারণের শরীরের এনার্জি নষ্ট হয় না।
আর গরম কালে বেশি বেশি কোল্ড ড্রিকস , আইস ক্রিম সহ ঠান্ড জাতীয় জিনিস বেশি খাওয়া হয় যা শরীরের ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী ।
চার নাম্বার
যে বিষয়টি সেটি হল পরিবেশগত সমস্যা
অনেকেই পরিবেশের দৃষ্টিকোণ অর্থাৎ সমাজের কুদৃষ্টির মধ্য থেকেই নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারে না অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলে যদি ভালোমতো একটু এক্সেসাইজ বা ব্যায়ামের কথা বলে শিক্ষিত সমাজ সেটাকে কোন ভাবে সাপোর্ট করে না।
যার কারণে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে আমাদের দেশের মেয়েরা বাধ্য হয়। যার কারণে অল্প বয়সে অধিক বয়সী নারীর মতো তাদেরকে দেখায় অর্থাৎ ওজনটা অপ্রত্যাশিত ভাবে বেড়ে যায়।
পাঁচ নাম্বার
যে বিষয়টি সেটি হল গর্ভকালীন সমস্যা
যেটা বিবাহিত নারীদের সময় বেশী হয়ে থাকে। সেটি হলো গর্ভধারণ যখন করে তখন আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারীরা খুব বেশি অলস ভাবে শুয়ে পড়ে তাদের দিনগুলো অতিবাহিত করে যার কারণে গর্ভধারণকালে অনেক বেশি ওজন সাথে সাথে ফ্যাট বা চর্বি বেড়ে যায়।
বাচ্চা হবার পরেও এই চর্বি কমানো অনেক বেশী কষ্টকর হয়ে পড়ে। গর্ভধারণকালে এত বেশি ওজন আমাদের দেশের মেয়েরা বাড়িয়ে ফেলেছে বাচ্চা হবার পরেও এ ওজন আর কমানোর মতো সাহস তাদের হয় না।
চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক
সমাধান বা মেয়েদের ওজন কমানোর উপায়ঃ
আমাদের উপরের উল্লেখিত সমস্যা গুলোর সমাধান গুলো কি হতে পারে
এক নাম্বার
যে সমস্যাটির কথা আমি আপনাদের কি বলেছি সেই সমস্যাটি হল মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় পরিশ্রম কম করে। এ সমস্যাটি সমাধানের ক্ষেত্রে কিন্তু চাকরি করা মেয়েরাও অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ সব ধরনের মেয়েদের কমবেশি রান্নার কাজটি করতে হয়
আমাদের দেশের মেয়েরা যদি রান্নার কাজটি বসে বসে না করে বরং হাটাচলার মধ্য দিয়ে করে তাহলে আমাদের দেশের মেয়েদের বাড়তি ওজন হ্রাস পাওয়ার বড় ধরনের একটি সম্ভাবনা আছে।
দ্বিতীয় নাম্বার
যে সমস্যাটি সেটি হল
আমাদের দেশের মহিলারা তাদের শরীরের যত্ন কোনরকমে প্রকৃতির উপর ছেড়ে দেয়। তারা ভাবে প্রকৃতি যেমনটা করবে সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের দেশের মহিলাদের এই ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল। সেটা সচেতন মহিলারা অর্থাৎ মিডিয়া দেশে যেসব মহিলারা আছে তাদের দিকে তাকালেই দেখতে পাবে।
অর্থাৎ বিভিন্ন শিক্ষিত মহিলারা তাদের শরীরের যত্ন এভাবে নেই যে ৪০ বছর ঊর্ধ্বে হয়ে যাবার পরেও তাদের দেখা যায় একদম স্লিম অর্থাৎ ১৮ এর নিচের মত। এজন্য আমাদের দেশের মহিলাদের ব্যায়াম করা অর্থাৎ এক্সারসাইজ করা। জিমে যেতে হবে এমনটা না।
ঘরের মধ্যে থেকেও সে গুলা করে নেওয়া উচিত। যাতে করে অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করতে পারে।
তৃতীয় নাম্বার
যে সমস্যাটি কথা বলেছিলাম সেটাই হলো আমাদের দেশের মহিলারা তাদের ওজন আবহাওয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
অর্থাৎ গরম আবহাওয়া দেশের মানুষেরা কষ্ট করতে পারে কম। কারণ অল্প কষ্ট করলে তারা ভেঙে যায় তাই বেশি কষ্ট করতে পারেনা। আর অনেক বেশি কোল্ড কোল্ড ড্রিকস , আইস ক্রিম সহ ঠান্ড জাতীয় জিনিস বেশি খাওয়া হয়। এজন্য শরীরের এনার্জি নষ্ট হয় না।
কিন্তু শীত প্রধান দেশের লোকেরা অনেক সময় ধরে কষ্ট করতে পারে না এজন্য তাদের শরীরের এনার্জি ও নষ্ট হয় বেশি অর্থাৎ ফ্যাট নষ্ট হতে পারে যার জন্য তারা তাদের শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে।
চার নাম্বার
যে সমস্যাটির কথা বলেছিলাম সেটা হল সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি।
আমাদের দেশের মেয়েরা নিজের চেয়ে পরে কি বলবে সেদিকে নজর বেশি অর্থাৎ নিজের ভালোটা না ভেবে পরে কি বলবে তার জন্য নিজের শরীরের যত্ন নেয় না। যার কারণে আমাদের দেশের মেয়েরা খুব অল্প সময়ে বয়স্ক দের মত দেখায়।
এজন্য আমাদের দেশের মেয়েদের উচিত রেগুলার এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করে ফেলা। এবং খাবারের ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করা।
পাঁচ নাম্বার
যে বিষয়টি সেটি হল গর্ভকালীন সমস্যা
আমাদের দেশের গ্রাম গঞ্জের মেয়েরা গ্রামের বা সমাজের মানুষেরা কি ভাববে শরীরের যত্ন নিলে এই ভয়ে শরীরের যত্ন নেয় না।
অর্থাৎ তারা গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে বেশি পছন্দ করে। আগের প্রজন্ম যেভাবে শরীরের যত্ন নিত সেভাবেই তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো নিজের শরীরের সৌন্দর্য যেহেতু আপনার নিজের। আপনার সৌন্দর্য যেহেতু আপনি নিজে উপভোগ করবেন তাই আপনার উচিত অন্যের দৃষ্টিতে কান না দিয়ে নিজের ভালোটা নিজেই বোঝে নিজের শরীরের যত্ন নিন এবং সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন।
এর পর বলেছিলাম সেটা হল গর্ভকালীন সমস্যা অর্থাৎ আমাদের দেশের মেয়েরা যখন গর্ভধারণ করে তখন তারা এত বেশি অলস ভাবে আরাম-আয়েশে সময় কাটায় যে অস্বাভাবিকভাবে তাদের ওজন বেড়ে যায়।
ওজন এত বেশি বেড়ে যায় যে বাচ্চা হবার পরে আর সেই ওজন কমানোর মতো সাহস তাদের হয়না। এই বাড়তি ওজন পরবর্তীতে তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় অর্থাৎ তাদেরকে বিভিন্ন রোগ আক্রমণ করার পাশাপাশি বয়সের তুলনায় অনেক বেশি বয়স্ক দেখায়।
তাই আমার বন্ধুদের জন্য আমার পরামর্শ হলো গর্ভধারণকালে অনেক বেশি পরিশ্রম করবেন। অনেক বেশি পরিশ্রম করলে আপনার শারীরিক অবস্থা যেমন ভালো থাকবে পাশাপাশি আপনার ভেতরে বেড়ে ওঠা শিশুটির শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ও ঠিকভাবে হবে।
তাহলে বন্ধুরা উপরের যতগুলো সমস্যা আমি বললাম তার সাথে সাথে সমাধানের উপায় বড় করে দিলাম। এই উপায়গুলো যদি আপনারা অনুসরণ করেন খুব সহজে নিজেদের বাড়তি ওজন কমিয়ে আপনারা সুস্থ থাকতে পারবেন।