আমাদের সৌন্দর্যের প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হল আমাদের চেহারা। আর আমাদের চেহারার যে যে অংশটি মানুষকে আরো বেশি আকৃষ্ট করে তোলে অর্থাৎ চেহারার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতেই ১০০% প্রভাব ফেলে যে সকল অঙ্গানু , তার মধ্যে প্রথমে হলো আমাদের ঠোঁট এবং আমাদের দাগহীন ত্বক।
বন্ধুরা, কেউ আমাদের সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষিত হয় আমাদের দাগমুক্ত চেহারা দেখে তার পাশাপাশি গোলাপি রঙের ঠোঁট দেখে। বন্ধুরা, গোলাপি রঙের ঠোঁট আমাদেরকে অনেক বেশি হট সেক্সি দেখায়। এটা শুনতে একটু কটু লাগলেও এটাই হচ্ছে প্রকৃত সত্য।
বন্ধুরা আমাদের বিপরীত জেন্ডার যখন আমাদের এই দুইটি জিনিস দেখে অর্থাৎ আমাদের মুখ এবং গোলাপী রঙের ঠোঁট দেখে। তখনই প্রথমে আমাদের উপর ক্রাশ খায়। বন্ধুরা, তাহলে বুঝা যাচ্ছে নিজেকে অপরের কাছে আকর্ষিত করে তুলতে এই দুইটি অঙ্গের গুরুত্ব কতটুকু ।
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব করতে যাচ্ছি কিভাবে মাত্র ৩ মিনিটে আপনার কালো ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করে তুলতে পারেন শুধুমাত্র পেস্ট ব্যবহারের মাধ্যমে।
পাশাপাশি কিভাবে আপনারা আপনাদের ত্বকে ব্রণের দীর্ঘমেয়াদি দাগ অথবা বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী দাগ দূর করে ফেলতে পারেন সেই বিষয়ে।
কিভাবে আমরা টুথপেস্টের মাধ্যমে কালো ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করতে পারিঃ
- প্রথমে আলোচনা করা যাক কিভাবে আমরা কালো ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করতে পারি শুধু টুথপেস্ট ব্যবহারের মাধ্যমে,
- চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে টুথপেস্ট ব্যবহারে মাত্র ৩ মিনিটে ঠোঁট গোলাপি রঙের হবে…
- বন্ধুরা আমরা প্রতিদিন নিয়মিত ব্রাশ করি। ব্রাশ করার সময় কিছু টুথপেস্ট এর অংশ আমাদের ২ ঠোঁটে লাগাতে হবে। ঠোঁট পরিষ্কার করার জন্য সাদা রঙের টুথপেস্ট সবচেয়ে কার্যকরী।
- তাই কিছু পরিমাণ টুথপেস্ট আমাদের দুই ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
- বন্ধুরা যদি আমরা যে ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করি সেই একই ব্রাশ দিয়ে আমরা যদি আমাদের দুই ঠোঁটকে তিন মিনিট সময় ধরে ব্রাশ করতে পারি এবং খুব আলতো আলতো ভাবে তাহলে আমাদের ঠোঁটের উপর যে মৃত কোষ থাকে যার কারণে আমাদের ঠোঁট কালো রঙের দেখায় সেই মৃতকোষগুলো উঠে চলে যায়।
- এই মৃতকোষগুলো চলে যাওয়ার সাথে সাথে আপনি নিজে দেখতে পারবেন আপনার ঠোঁট কি পরিমান গোলাপি রঙের হয়ে গেছে। অর্থাৎ আপনার প্রকৃত রং ধারণ করেছে যা এতদিন মৃতকোষের আড়ালে থেকে ছিল।
- প্রতিদিন একবার ব্যবহারে আমাদের ঠোঁট যে পরিমাণ গোলাপি রঙের হয় সেটা যদি আমরা দীর্ঘস্থায়ীভাবে ধরে রাখতে চায় তাহলে প্রতিদিন ব্রাশ করার সময় একই পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করে তুলতে পারি।
- এই ঠোঁটের এবং ঠোঁটকে গোলাপি করার বিষয়টি যদি আমরা ব্রাশ করার মতোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ করে ফেলতে পারি সেটি আমাদের ঠোঁটকে গোলাপি করতে সহায়তা করবে এবং সেটা দীর্ঘমেয়াদী হবে।
তাহলে বন্ধুরা চিরস্থায়ীভাবে ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করতে আর কোনো টেনশনই রইল না। প্রতিদিন শুধু ৩ মিনিট আপনার ঠোঁটের ওপর সময় দেওয়ার মধ্য দিয়ে আপনারা আপনাদের ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করে তুলতে পারেন।
মুখ থেকে ব্লেকহেডস ও ব্রনের দাগ দূর করবেন যেভাবেঃ
- বয়সন্ধিকালের পর থেকে পঁচিশ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে যে সমস্যাটি মধ্য দিয়ে আমরা যায় সেটি হল ব্রণের সমস্যা। ব্রণের দাগ আমাদের সৌন্দর্যকে একেবারে নষ্ট করে দেয়।
- ব্রণের দাগ দূর করার জন্য আপনারা হাজার ধরনের সমাধান খুঁজে থাকেন। কিন্তু কার্যকরী সমাধান এর অভাবে আপনাদের এই মুখের দাগ গুলো আর যাওয়া হয় না। আপনাদের কথা মাথায় রেখে আজ আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম দারুন দুইটি প্যাক। যে প্যাক ব্যবহার করলে সম্পূর্ণরূপে আপনার ত্বকের ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে।
১। ত্বক থেকে ব্রণের দাগ দূর করতে চন্দনের গুঁড়ার সাথে পাকা টোমেটোর ফেইসপ্যাকঃ
এই প্যাকটি তৈরি করতে যে সকল উপকরণ লাগবে…
- ২ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়া,
- ১ টি পাকা টমেটোর পেস্ট,
- ২ টেবিল চামচ গোলআলুর পেস্ট,
- ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল,
- ২ চা চামচ কাঁচা তরল দুধ,
ব্যবহার করবেন যেভাবেঃ
- উপকরণ গুলো একসাথে ব্লান্ডার করে আমরা এই প্যাকটি তৈরি করে নিতে পারি এবং তা আমাদের মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে সম্পূর্ণরূপে ব্রণের দাগ চলে যাবে।
২। ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর করতে ফেইসপ্যাকঃ
এটি তৈরি করতে যে সকল উপকরণ লাগবে…
- ২ টেবিল চামচ নিমপাতা বাটা,
- সামান্য পরিমাণ কফি পাউডার,
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ
- উপকরণ গুলো একসাথে ব্লান্ডার করে মুখে লাগালে এবং ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে সব ধরনের দীর্ঘস্থায়ী দাগ দূর হয়ে যাবে।
তাহলে বন্ধুরা আর ব্রণের দাগ নিয়ে চিন্তিত নয়, আমাদের দেওয়া উপরের এই দুইটি ফেইসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করুন। এবং ঠোঁটের যত্নে টুথপেস্টে এর দেওয়া পদ্ধতিটি নিয়মিত করুন তাহলে ঠোঁটের দাগ এবং ব্রণেরদাগ খুব সহজে আপনারা দূর করে ফেলতে পারবেন।