চুল সুন্দর আর ঝলমলে রাখতে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখার কিছু কার্যকরী উপায়

আমাদের অধিকাংশের একটা প্রধান সমস্যা হল মাথার ত্বক তৈলাক্ত কিংবা অতিরিক্ত শুষ্ক অথবা অতিরিক্ত সেনসিটিভ হয়ে থাকে।

যার ফলে আমাদের মাথার ত্বকে ময়লা  এবং খুশকিসহ চুল পড়ে যাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, চুল বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

চুল সুপার সিল্কি করার উপায়

তাই চুলের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি মাথার ত্বকের যত্ন নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন আছেন যারা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে কিভাবে ঘরে বসেই মাথার ত্বকের যত্ন নিবেন সে সম্পর্কে অবগত নন।

সুপ্রিয় বন্ধুরা কিভাবে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখবেন সেই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কৌশল নিয়ে আমাদের এই আলোচনাটি সাজিয়েছি।

তাহলে চলো বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখার অত্যন্ত কার্যকরী কিছু উপায় সমূহ।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখার কিছু কার্যকরী উপায়ঃ

নিয়মিত তেল দেয়াঃ

মাথার ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে পরিষ্কার এবং সজীব রাখতে নিয়মিত তেলের ব্যবহার অত্যন্ত সাধারণ হলেও অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রক্রিয়া।

তাই মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে যা যা করবেন

মাথায় তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালযুক্ত তেলের চেয়ে ভার্জিন তেল যেমন নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, রুজ অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করা অধিকতর ফলদায়ক হবে।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত শ্যাম্পুঃ

বিভিন্ন ধরনের ভার্জিন শ্যামপু আমাদের চুলের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমনি মাথার ত্বক পরিস্কার রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে

আপনি নিয়মিত শ্যাম্পু করে আপনার মাথার ত্বক থেকে ময়লা এবং খুশকি সম্পূর্ণরূপে দূর হবে। যার ফলে মাথার ত্বক থাকবে সম্পূর্ণ পরিষ্কার এবং দূষণমুক্ত।

 রোদে বেরোনোর সময় ছাতা ব্যবহার করুনঃ

অতিরিক্ত রোদ আমাদের মাথার ত্বককে  তেল চিটচিটে করে দেয়। যার ফলে খুব সহজেই ধুলাবালি আমাদের মাথার ত্বককে দূষিত করে দেয় ।

তাই রোদে বের হওয়ার সময় মাথার ক্যাপ অথবা  ছাতা ব্যবহার করলে আমাদের মাথার ত্বক সুরক্ষিত এবং পরিষ্কার থাকবে।

 চুল আঁচড়ানোঃ

নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর পাতার স্কাল্পের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

চুল লম্বা করার উপায়

মাথার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের মৃতকোষ জন্মে যার ফলে চুলের গোড়ায় ময়লা এবং খুশকির উপদ্রব বেড়ে গিয়ে চুল পড়ে যায় এবং চুলের ঘনত্ব হারিয়ে যায়।

তাই নিয়মিত চুল আঁচড়ালে মাথার স্ক্যাল্প পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন থাকে।

অয়েল ট্রিটমেন্টঃ

অয়েল ট্রিটমেন্ট মাথার স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাসে অন্তত একবার মাথার ত্বকে অয়েল ট্রিটমেন্ট করা অত্যন্ত উপকারী।

পার্লারে গিয়ে কিংবা ঘরে বসে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিয়ে অয়েল ট্রিটমেন্ট করে নিতে পারেন।

চুল সুপার সিল্কি করার উপায়

অয়েল ট্রিটমেন্ট মাথার ত্বকের তেল গ্রন্থিগুলোকে উজ্জীবিত করে এবং ময়লামুক্ত করে। তাই মাথার ত্বক থাকে পরিষ্কার উজ্জ্বল এবং দূষণমুক্ত।

স্ক্যাল্প ম্যাসাজঃ

বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ম্যাসাজ রয়েছে যার মাধ্যমে আমাদের মাথার ত্বক সবসময় পরিষ্কার এবং সুস্থ রাখা সম্ভব। এতে করে মাথার ত্বকের ব্লাড সার্কুলেশন অনেকাংশেই বেড়ে যায় ।

১ বার এলোভেরা তেল ব্যবহার করে দেখুন ছোট চুল আকাশ সমান লম্বা হবে

চুলের প্রোডাক্ট মজবুত হয় এবং খুশকি দূর হয়ে মাথার ত্বক থাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার। তাই মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার স্কাল্প মেসেজ বা মাথার ত্বকের ম্যাসাজ অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হেয়ার প্যাক এর ব্যবহারঃ

 মাথার ত্বক কে খুশকি মুক্ত রাখতে, ময়লা মুক্ত রাখতে এবং দূষণমুক্ত ও সুস্থ রাখতে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক তৈরি করা যায়।

নিয়মিত অথবা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এসব গুরুত্বপূর্ণ হেয়ার প্যাক ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বক যেমন থাকে পরিষ্কার ঠিক তেমনি খুশকি দূর হয়ে চুল  হয়ে ওঠে ঘন, কালো, উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয়।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে যা যা করবেন

 বিভিন্ন ধরনের কার্যকর  হেয়ার প্যাক সম্পর্কে ধারণা নিতে আমাদের হেয়ার প্যাক সংক্রান্ত কলামগুলো পড়ুন।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখার গুরুত্বঃ

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখলে খুশকির উপদ্রব কমে যায়।

মাথার ত্বক ময়লা থেকে সব সময় পরিষ্কার রাখলে বিভিন্ন ধরনের স্কিন ডিজিজ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখলে চুলের গোড়ায় শক্তি যোগায় ও চুল থাকে পরিষ্কার, ঘন, কালো এবং উজ্জ্বল।

মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকলে চুল ঝরে পড়া এবং চুল পাতলা হয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

মাথার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত উপকারী।

৭ দিলে চুল লম্বা করার উপায়

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখলে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি এবং চুলকানি অনেকাংশেই কমে যায়।

তাই মাথার চুল কে দূষণমুক্ত রাখতে এবং  বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে নিজের মাথার ত্বককে নিরাপদ রাখতে।

ঘন, কালো, মসৃণ, ও খুশকি মুক্ত  চুলের জন্য  উপরে উল্লেখিত বিষয় সমূহ অনুসরণ করুন। সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করুন।