শীতকাল ছাড়াও ঠোঁটকে সারা বছর গোলাপি রাখার কিছু কার্যকরী কৌশল

আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্যের সম্পূর্ণটা শরীর এবং চেহারার উপর নির্ভর করলেও চেহারার সৌন্দর্য নির্ভর করে  ঠোঁটের সৌন্দর্যের উপর। সুন্দর কোমল এবং গোলাপি ঠোঁট সকলেরই প্রত্যাশিত। তবে জন্মগত কারণে বা আবহাওয়ার ফলে আমাদের অনেকেরই ঠোটে কালো দাগ হয়ে যায় অথবা ঠোঁট কালো হয়ে যায় ।

ঠোঁটকে সারাবছর গোলাপি রাখতে আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করতে থাকি এতে সাময়িকভাবে ঠোঁট গোলাপি রং ধারণ করলেও পরবর্তীতে কেমিকেলের ইফেক্টে ঠোঁট আরো কালো হয়ে যায়।

যার ফলে আমরা আমাদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলি। অনেকেই আছেন যারা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁট গোলাপি রাখার উপায় খুঁজছেন । তাহলে বন্ধুরা আপনাদের জন্যই আমাদের আজকের আলোচনা।  কিভাবে শীতকাল ছাড়াও সারাবছর ঠোঁট গোলাপি রাখবেন সেই বিষয়ে কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল নিয়েই আমাদের এবারের আলোচনা।

 ঠোঁট গোলাপি রাখার কৌশল

তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক কিভাবে সারাবছর ঠোঁট গোলাপি রাখবেন।

শীতকাল ছাড়াও সারাবছর ঠোঁট গোলাপি রাখার অত্যন্ত কার্যকরী কৌশল সমূহঃ

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে এলোভেরা জেলের ব্যবহার

 কাঁচা দুধঃ

 কাঁচা দুধের বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান আপনার ঠোঁটকে কোমল এবং গোলাপী করে তুলতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন ঠোঁটে কাঁচা দুধ লাগিয়ে 20 মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর গোলাপজল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। শীতকাল ছাড়াও এটি আপনার ঠোঁটকে করে রাখবে গোলাপি এবং কোমল।

 হলুদের গুঁড়ো এবং ঠান্ডা দুধঃ

পরিমান মত হলুদের গুঁড়ো এবং তাতে সামান্য পরিমাণে ঠান্ডা দুধ মিশিয়ে।

ত্বক ফর্সা করতে হলুদ
ত্বক ফর্সা করতে হলুদ

পাঁচ মিনিট মতো ঠোঁট মালিশ করুন। প্রতিদিন এভাবে মালিশ করলে আপনার ঠোঁট  কিছুদিনের মধ্যেই গোলাপী রঙ ধারণ করবে। এবং তা সারা বছরই ঠোঁট গোলাপি রাখতে সাহায্য করবে।

 আলমন্ড অয়েল এবং লেবুর রসঃ

 আলমন্ড অয়েল ঠোঁটের আদ্রতা বজায় রেখে ঠোঁটকে করে রাখে কোমল এবং সতেজ।

ব্রণ দূর করার উপায়

লেবুতে বিদ্যমান ভিটামিন সি- ঠোঁটের এর তেলতেলে ভাব দূর করে এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে ঠোঁটকে করে রাখে গোলাপি। এটি সারা বছরই আপনার ঠোঁটকে গোলাপি রাখবে।

 লেবুর রস এবং চিনিঃ

 এক চা চামচ লেবুর রসে পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে আপনার ঠোঁটে মালিশ করুন। 

 ঠোঁট গোলাপি রাখার উপায়

এবং 5 মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন । এর ফলে ঠোঁটের মরা কোষ পরিষ্কার হয়ে যায় ফলে ঠোঁট হয়ে ওঠে কোমল এবং গোলাপি।

গ্লিসারিনঃ

 ঠোঁট শুষ্ক হওয়া এবং কালো হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে গ্লিসারিন এর অভাব।

 ঠোঁট গোলাপি রাখার উপায়

গ্লিসারিন আপনার ঠোঁটের আদ্রতা বজায় রেখে কাল এবং সুস্থ হওয়া থেকে ঠোঁট কে বাঁচায়।  ফলে ঠোঁট থাকে সারা বছর গোলাপি।

 বিটরুটঃ

 সারাবছর আপনার ঠোঁট দাগ মুক্ত এবং গোলাপী রাখতে অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে বিটরুট ব্যবহার করা । বিটরুটের রস বের করে নিয়ে ঠোটের উপর লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন।কিছুক্ষণ পর দেখবেন আপনার ঠোঁট সমস্ত রস চুষে নিয়েছে।

 ঠোঁট গোলাপি রাখার উপায়

এরপর এটি টেনে তুলে নিন অথবা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বিটরুটের  বিদ্যমান উপাদান আপনার ঠোঁটকে গভীর থেকে উজ্জ্বল,  কোমল ও গোলাপি করে তুলতে সাহায্য করে।

 বাদামের তেলঃ

 ঠোঁটের অস্বাভাবিক কালো রং দূর করে ঠোঁটকে গোলাপি করে তুলতে বাদাম তেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 ঠোঁট গোলাপি রাখার কৌশল

প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ঠোঁট  থাকবে সারা বৎসর গোলাপি এবং কোমল।

গোলাপঃ

গোলাপ আপনার ত্বককে যেমন রঙিন, মসৃণ এবং আদ্র করতে সাহায্য করে ।  ঠিক তেমনি ঠোঁটের আদ্রতা বজায় রেখে ঠোঁটকে রঙিন অর্থাৎ গুলাপি করতে গোলাপের জুড়ি নেই।

 ঠোঁট গোলাপি রাখার কৌশল

 গোলাপের পাপড়ি পেষ্ট করে ঠোঁটে ৫ মিনিট স্ক্রাব করলে ঠোঁট গোলাপি হয়ে যায় ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

ঠোঁটে লেবু ব্যাবহার করার পর ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করে নিন। না হয় ঠোঁট  ফেটে গিয়ে ঠোঁট রুক্ষ হয়ে কালো দাগ চলে আসবে।

 ঠোঁট আপনার চেহারা সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই শীতকাল ছাড়াও  সারাবছর ঠোঁট কোমল উজ্জ্বল এবং গোলাপী রাখতে আমাদের নির্দেশিত পন্থা সমূহ অনুসরণ করুন। অর্জন করুন  সারা বছরের জন্য দাগহীন  কোমল, উজ্জ্বল গোলাপী ঠোঁট।

 ধন্যবাদ।