সুপ্রিয় বন্ধুরা, আজ আমরা জানবো রক্তের গ্রুপের সাথে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সম্পর্কটা কেমন। সাথে সাথে এও জানবো ব্লাড গ্রুপ মানুষের কি কি ব্যক্তিত্য তুলে ধরে। ব্লাড গ্রুপের কারণে আমাদের যৌন ক্ষমতার ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কিনা। তাহলে বন্ধুরা, শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক আমাদের ব্লাড গ্রুপের কারণে আমাদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কোন অদল-বদল বা প্রভাব পড়ে কিনা???????
রক্ত কাকে বলে????
রক্ত হচ্ছে একটি পানীয় শক্তি। প্রত্যেক মানুষের শরীরে এই রক্ত রয়েছে। রক্ত সাধারণত রক্তকণিকা দ্বারা গঠিত হয়।
আজকে আমরা জানবো মানবদেহে রক্তের গ্রুপের বৈশিষ্ট্য সমূহ……………
A+ রক্তের মানুষগুলোর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ
এই গ্রুপের মানুষকে সারা বিশ্বের মধ্যে সেরা মেধাবী মানুষ বলে ধরা হয়ে থাকে। এই গ্রুপের মানুষ যেকোন বিষয়ে মন থেকে অনুসরণ করলে অতি দ্রুত ফিডব্যাক পাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই গ্রুপের মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে ৮০ বছর পর্যন্ত। এই গ্রুপের মানুষ অর্থ অপচয় করে বেশি আর আয় করে কম। তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তা একেবারেই কম। বর্তমানকে গুরুত্ব দেই বেশি। এই গ্রুপের মানুষেরা সরাসরি কথা বলতে ভালোবাসে। এরা নেতৃত্ব দিতে ও ভালোবাসে। A+এই গ্রুপের মানুষ একই সাথে একাধিক কাজ ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকতে ভালোবাসে। এই গ্রুপের মানুষেরা খুবই বেশি রাগী। এবং একবার রাগান্বিত হলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকেনা। এই গ্রুপের মানুষ AB+, B+ গ্রুপের সাথে বিবাহ হলে সাধারণত দাম্পত্য জীবনে সুখী হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
B+ রক্তের মানুষগুলোর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ
B+ গ্রুপের মানুষকে সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধীর-স্থির ও শান্ত, বিনয়ী এবং মধ্যম শ্রেণীর মেধা সম্পন্ন বলে মনে করা হয়ে থাকে।বি পজেটিভ গ্রুপের মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে প্রায় ৫০বছর পর্যন্ত। বি পজেটিভ গ্রুপের মানুষের মেধা অন্য গ্রুপের মানুষের চেয়ে একটু ধীর গতিতে কাজ করে। সহজে কোন বিষয়কে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে চায় না। কিন্তু একবার যদি কোন বিষয় মনের মধ্যে চলে আসে তাহলে তা সহজে ভুলে যায়না। B+ গ্রুপের মানুষ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আয় বুঝে ব্যয় করে। বি পজেটিভ গ্রুপের মানুষকে কোন বিষয়ে প্রস্তাব দিলে তা সহজে গ্রহণ করেনা এবং বিষয়টি নিয়ে বারবার গবেষণা করার পর সিদ্ধান্ত প্রদান করে। একবার কোনো মানুষের উপর রেগে গেলে সরাসরি আঘাত করেনা, কৌশল দিয়ে আঘাত করে। বি পজেটিভ গ্রুপের মানুষ বি পজেটিভ অথবা এ পজেটিভ গ্রুপের সাথে বিবাহ হলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।
O+ রক্তের গ্রুপের মানুষ গুলো কেমন হয়ঃ
ও পজেটিভ গ্রুপের মানুষ সারা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় মেধা সম্পন্ন হয়ে থাকে। ও পজেটিভ গ্রুপের মানুষকে সবচেয়ে বেশি নরম মনের মানুষ ও উদার মানুষ এবং মায়াবান মানুষ বলে মনে করা হয়। যদি কেউ কোনো সমস্যায় পড়ে, তাহলে অন্য গ্রুপের লোকের চেয়ে ও পজেটিভ গ্রুপের লোকেরা সাধারণত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ও পজেটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষগুলো অধিক বন্ধুপ্রিয় হয়, এবং কল্পনাবিলাসী হয়। অর্থাৎ দিবা স্বপ্ন দেখার মতো ঘটনা তাদের জীবনে ঘটে। এই গ্রুপের মানুষ সাধারণত ৪০ বছর পর্যন্ত সুস্থ থাকে। তারা ভবিষ্যতের চিন্তা করে এবং আয় বুঝে ব্যয় করে না। বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে অধিক ভালোবাসে। O+ রক্তের মানুষ দ্রুত রাগান্বিত হয় এবং অতি তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যায়। O+ গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ৪০ বছর বয়সের পর থেকে এদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। O- ও O+ গ্রুপের মানুষ, বি পজেটিভ অথবা এবি পজেটিভ গ্রুপের সাথে বিবাহ হলে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।
AB+ রক্তের গ্রুপের মানুষ গুলো কেমন হয়ঃ
এছাড়াও এবি পজেটিভ গ্রুপের মানুষ সাধারণত একটু ব্যতিক্রমধর্মী হয়ে থাকে। স্বল্প সময়ে এই গ্রুপের মানুষের প্রকৃত চিন্তা চেতনা ও মানসিকতাকে জানা যায় না। এই গ্রুপের মানুষ সুস্থ থাকে ৬০ বছর পর্যন্ত। এই গ্রুপের মানুষের চরিত্র সাধারণত এ পজেটিভ, বি পজেটিভ মিশ্রণে হয়ে থাকে। এবি গ্রুপের মানুষ অতিরিক্ত সঞ্চয়ী মনোভাবের হয়ে থাকে। যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ধীরগতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। মনের ভিতরে কোন গোপন কথা লুকিয়ে রাখতে পারে না। এরা সাধারণত এক সিদ্ধান্তের অধিকারী। কোন বিষয়ে একবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেললে দ্বিতীয়বার সিদ্ধান্তে থেকে তারা সরে আসে না। এই গ্রুপের মানুষ খুব সাহসী, প্রতিবাদী স্বভাবের হয়। এবি পজেটিভ গ্রুপের মানুষ ও পজেটিভ অথবা অথবা এবি পজেটিভ গ্রুপের সাথে বিবাহ হলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।
এখন নেগেটিভ গ্রুপের মানুষের বৈশিষ্ট্য সমূহ নিয়ে আলোচনা করব……
পৃথিবীতে নেগেটিভ গ্রুপের মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। এইসব গ্রুপের মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণ করা সহজে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে এই গ্রুপের মানুষ সকল প্রজাতির মানুষের তুলনায় শারীরিক দিক দিয়ে একটু দুর্বল হয়ে থাকে। এই গ্রুপের মানুষের বুদ্ধি শক্তি তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। এরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বিলম্ব করে। কোন কোন সময় কাজ করতে গিয়ে ঝুঁকি মনে করে। এই গ্রুপের মানুষ নম্র ভদ্র ও মার্জিত স্বভাবের হয়ে থাকে।
কাজেই রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে জেনে রাখা যেমন জরুরি, তেমনি মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর যে রক্তের গ্রুপের প্রভাব আছে সেটাও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রমানিত।
তাহলে বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম বিভিন্ন রক্তের গ্রুপের কারণে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
এখন আমরা জানবো এই রক্তের গ্রুপের কারণে মানুষের যৌন ক্ষমতার উপর কি কোনো প্রভাব পড়ে কিনা……
কোন ব্যক্তির যৌন ক্ষমতা কতটা তা অনেকটা নির্ভর করে তার রক্তের গ্রুপের ওপর। রক্তের গ্রুপের সাহায্য নিয়ে যৌন ক্ষমতা পরিমাপ করা যেতে পারে। অন্তত এমনটাই দাবি করেছে সাম্প্রতিক গবেষণার অনেক রিপোর্ট এবং বিশেষজ্ঞদের জার্নাল গুলোতে।
বন্ধুরা আপনাদের যাদের রক্তের গ্রুপ এবি, তাদের নিজেদের যৌন জীবন সম্পর্কে আরও সচেতন করার জন্য আজকে আমরা আপনাদের জন্য কিছু সচেতনতা মূলক বিষয় শেয়ার করবো………
অনেক সময় দেখা গিয়েছে বয়স একটু বেড়ে গেলেই যৌনতার ইচ্ছা চলে যায় । অনেক মানুষের মধ্যে অনেক সময় তা হয়ে থাকে থাইরয়েড, ডায়াবেটিসের কারণে। তবে একাধিক গবেষণা অনুযায়ী দেখা যায় বিভিন্ন রোগের কারণে তো মানুষের যৌন ইচ্ছা চলে যেতে পারে। তাছাড়া ও রক্তের গ্রুপের কারণেও এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যাদের রক্তের গ্রুপ O+ তাদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা অনেক কম। প্রায় ১০ হাজার মানুষের রক্ত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী রক্ত গ্রুপের কারনে মানুষের মধ্যে অল্প বয়সে যৌনতার ইচ্ছা বা অক্ষমতা চলে আসে। অন্যদিকে O+ গ্রুপের রক্ত যাদের তাদের আছে তাদের মধ্যে যৌন ইচ্ছা বা যৌন ক্ষমতা অনেকাংশে বেশি থাকে।
রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে মানুষের শুধু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর প্রভাব পড়ে তা কিন্তু নয় তার পাশাপাশি মানুষের যৌন ইচ্ছা, যৌন ক্ষমতার ওপর প্রভাব পড়ে আজ সে সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দিলাম। ধন্যবাদ।