দাঁত ক্ষয় বা মাড়ি ক্ষয় কেন হয় ? কিভাবে প্রতিরোধ করবেন ?

বন্ধুরা দাঁত ক্ষয় হয়ে গেলে কি করবেন??? বা কেন দাঁত ক্ষয় হচ্ছে এই নিয়ে চিন্তা যেন আমাদের শেষ নেই। কারণ মানবদেহের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল দাঁত।

কিন্তু প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে ও অবহেলার কারণে আমাদের প্রায় নানারকম দাঁতের সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই দাঁতের সুরক্ষায় একটু সময় নিয়ে ধৈর্য সহকারে আমাদেরকে দাঁতের যত্ন নিতে হবে।

এছাড়া আমাদের জানতে হবে……

কেন আমাদের দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়??  

আমাদের মুখের মধ্যে সবসময় কিছু প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত হয়। আহার গ্রহণের পর দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ভক্ষণ করে মুখের মধ্যে অম্লীয় পরিবেশ তৈরি করে, যা আমাদের দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে। দ্রুত পূরণ না হলে আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে বড় গর্ত তৈরি করে ফেলে। চিকিৎসা ব্যতীত গর্তগুলো সময়ের সাথে সাথে বড় হতে পারে এবং এমনকি পুরো দাঁত কে নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাবার  থেকে সৃষ্ট এসিডের কারণে দাঁত পরবর্তী সময়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এবং আপনি খাবার বা পান করার সময় দাঁতের গোড়ায় ব্যথা অনুভব করেন।

এখন আমরা জানবো কি খেলে আমাদের দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়্‌,???

যে সকল কারণে আমাদের দাঁত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে……

দাঁত ক্ষয় তখনই ঘটে যখন শর্করাজাতীয় বা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে। এবং ব্রাসিং এবং ফ্লসিং দিয়ে ও সম্পূর্ণ অপসারণ করা যায় না।

দাঁত ক্ষয় হয়ে যাবার প্রধান কারণগুলো হলো চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়।

যত বেশি চিনি খাওয়া হয় ততো এসিড উৎপন্ন হয়। যা আমাদের দাঁতের এনামেল কে দুর্বল করে দেয়। দাঁতের ক্ষয় কে ত্বরান্বিত করে।

এছাড়া যে সকল কারণ এর জন্য দায়ী……

  • নিয়মিত দাঁত মাজা সকালে ও রাতে, যদি দুবার করে আমরা না মাজি তাহলে আমাদের দাঁত ক্ষয় হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
  • ব্লক গঠন ব্যাকটেরিয়া খাদ্যকে এবং একত্রিত করে। যেটা  এনামেল ক্ষয় এর জন্য অন্যতম ভাবে দায়ী।
  • শুষ্ক মুখ অপসারণে সহায়তা করে।  
  • খাবার-দাবার বিশেষ করে দুগ্ধ জাতীয় খাবার, যেমন দুধ পান করার পরে বা শুকনো ফল ক্যারামেল কিসমিস এগুলো খাওয়ার পরে দাঁত ভালো মত যদি আমরা পরিষ্কার না করে থাকি এর পরে এইগুলো দাঁতের মধ্যে আটকে গিয়ে খাদ্যকণা গোলকধাঁধায় আটকে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। যার কারনে  দাঁতের ক্ষয় হয়ে থাকে।

এখন আমরা জানবো………

দাঁতের ক্ষয় রোধে কি কি করা উচিত

  • ব্রাশ করা।
  • পেস্ট ব্যবহার করা
  • ফ্লস ব্যবহার করা
  • মাউথ ওয়াশ করা
  • খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা
  • ব্রাশ করা দিনে দুবার করে জিব্বা সহ ব্রাশ করতে হবে। এতে করে আমাদের দাঁতে যত খাবার লুকিয়ে থাকে তারা বের হয়ে যাবে। যা পরবর্তীতে দাঁতের এনামেল নষ্ট করতে পারবে না। আমাদের দাঁত  যদি শক্ত হয় আমাদের স্মৃতি শক্তি ও তাতে প্রকার হয়।
  • পেস্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। বাজারে প্রচলিত আমেরিকান ডেন্টাল এসোসিয়েশন দ্বারা অনুমোদিত উন্নত মানের টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে।
  • প্রতিদিন অন্তত একবার ফ্লস ব্যবহার করতে হবে। যা দাঁতের  গভীরে খাদ্যকণা জমতে দেয়না। এটি ব্যবহার করার ফলে মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হয় না এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় না।  
  • খাদ্যাভ্যাস সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে। দুগ্ধজাত খাবার যদিও আমাদের অনেক প্রিয় তারপরেও দাঁতের জন্য এগুলো আমাদের পরিহার করতে হবে।

ওপরে আমরা যে উপায় গুলো বললাম এ সকল উপায় যদি আপনারা সঠিকভাবে পালন করেন, তাহলে আপনারা দাঁতের ক্ষয়রোধ কে প্রতিরোধ করতে পারবেন। তাছাড়াও দাঁত যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, এটি হারিয়ে গেলে অনেক বড় একটা ক্ষতি হয়। তাই এর সঠিক যত্ন আমাদের দরকার। তাই দাঁতের সঠিক যত্ন নিব এবং দাঁতকে সুন্দর ও সাদা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখবো।  ধন্যবাদ।