বন্ধুরা আপনারা কি জানেন ফুসফুস ক্যান্সার কি???
ক্যান্সার হলো এমন একটি অসুখ যখন শরীরের একটি অংশের কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখন ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলো আশেপাশের অঙ্গ কে আক্রমণ করে নষ্ট করে দিতে পারে।
পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যান্সার। বর্তমানে প্রতি তিনজনের একজন জীবনের কোনো এক সময় ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং হবে।
বন্ধুরা এখন আমরা জানবো ফুসফুস ক্যান্সার কাকে বলে??????
ক্যান্সার সাধারণত কোষের অত্যাধিক বৃদ্ধিতে কাজ করে। ফুস্ফুসের জীবন চক্রের একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ের কোষ উৎপাদন করে। কিন্ত ক্যান্সার এই নিদর্শনকে ওভাররাইট করে কোষগুলোকে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে এবং বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। যেটা শরীরের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। কারণ কোষগুলোর অত্যাধিক বৃদ্ধির বিকাশ এবং ক্যান্সারের ক্ষতিকারক প্রভাব এর দিকে পরিচালিত করে।
চিকিৎসাবিজ্ঞান এখনো পর্যন্ত ফুসফুসের ক্যান্সার কে দুই ভাগে ভাগ করতে পেরেছে।
যে ক্যান্সার ফুসফুসে শুরু হয় সেটা কে প্রাইমারি ক্যান্সার বলা হয়। শরীরের অন্য অংশ থেকে ক্যান্সার ছড়িয়ে ফুসফুসকে আক্রমণ করলে সেটাকে সেকেন্ডারি ক্যান্সার বলা হয়।
প্রাইমারি ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে।
মানুষের এটা দুই রকমের হতে পারে।
প্রথমে আসা যাক ননসেন্স আর যেটা সবচেয়ে কমন এবং ফুসফুসের ক্যান্সার হয়ে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে।
এখন আমরা জানবো কিভাবে এটি মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে বা এর লক্ষণ সমূহঃ
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যে লক্ষণগুলো সর্বদা দেখা যায় সেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করব। যদিও এই সকল লক্ষণগুলো সর্বদা দেখা যায় না, যতক্ষণ না রোগীটি পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছে।
তবে কিছু লক্ষণ লক্ষ করা যায় যা থেকে মনে করা যায় রোগীর ফুসফুসে ক্যান্সার হয়েছে। লক্ষণগুলো কিন্তু অন্যান্য রোগের লক্ষণ এর সাথে মিল পাওয়া যায়ঃ
- কোন ব্যক্তির আওয়াজ বসে যাওয়া।
- ঘনঘন বুকে সংক্রমণ যেমন ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, ।
- শ্বাসকষ্ট
- মাথা ব্যাথা
- ওজন কমে যাওয়া
- একজন ব্যক্তির ফুসফুসের ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলোর অভিজ্ঞতা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে
- বুকের তীব্র ব্যাথা বা হাড়ের ব্যথা বা রক্ত জমাট।
এখন আমরা আপনাদেরকে যে বিষয় গুলো বলবো সেগুলো যদি আপনারা ফলো করে থাকেন, তাহলে ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে আপনারা খুব সহজেই নিজেকে প্রতিরোধ করতে পারবেন।
ফুসফুস কিভাবে আপনারা প্রতিরোধ করবেন?????
- ফুসফুসে ক্যান্সার এড়াতে সিগারেট খাওয়া সম্পূর্ণ ভাবে ত্যাগ করতে হবে।
- লোকদের বছরে কমপক্ষে একবার হলেও ফুসফুসের চেকআপ করা উচিত অর্থাৎ সিটি স্ক্যান করা উচিত।
- তামাক এবং ধূমপান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
বন্ধুরা এসকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আপনারা গ্রহণ করতে পারেন এবং খাবার-দাবারে যদি একটু সচেতন থাকেন, চলাফেরায় যদি একটু সাবধান হন অর্থাৎ ধুলাবালি থেকে যদি নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন, তাহলে আপনারা খুব সহজেই ভয়ঙ্কর রোগ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ
এছাড়াও যেসব ঝুঁকি ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য অধিক বেশি হয়ে থাকে অর্থাৎ এইসব ঝুঁকি থাকলে আপনাকে অবশ্যই আরো সচেতন ভাবে চলাফেরা করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এক নাম্বার বয়স 40 বছরের বেশি বয়সের মধ্যে সাধারণত ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে যদি দেখা যায়
যদিও কম বয়সে এ রোগটি হতে পারে দুইনাম্বার জেনেটিক যাদের বাবা মা ভাই বোনের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বা ক্লান্ত হয়ে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় ধূমপান না করলেও তিন নাম্বার পরিবেশ রাসায়নিক বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে এবং পরিবেশ দূষণকারী জিনিস যেমন সিগারেটের ধোঁয়া আর্সেনিক দূষণ এর সংস্পর্শে থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়