চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল (Sreemangal) বাংলাদেশের জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান গুলোর একটি শ্রীমঙ্গল। দৃষ্টিনন্দন চা বাগান, নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ, লেক, আঁকাবাঁকা সড়ক, বনাঞ্চল, উঁচু নিচু পাহাড় ও হাওর সমৃদ্ধ শহর শ্রীমঙ্গল অপরূপ সৌন্দর্যেরই লীলাভূমি। ঢাকা ও তার আশপাশ থেকে খুব সহজে একদিনেই শ্রীমঙ্গল ঘুরে দেখে ফিরে যাওয়া যায়। ◼️ ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল | DHAKA TO SREEMANGAL ঢাকা থেকে ট্রেনে শ্রীমঙ্গল যায় উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত অথবা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন। ভাড়া ২৪০ থেকে ৫৫২ টাকা। ঢাকা থেকে হানিফ, শ্যামলী, সিলেট এক্সপ্রেস ও এনা সহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস শ্রীমঙ্গল যায়। বাস ভাড়া ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা। সারাদিন ঘুরার সিএনজি রিসার্ভ ভাড়া লাগবে ১২০০-১৫০০ টাকা ও জীপ গাড়ি ভাড়া লাগবে ২২০০-২৫০০ টাকা।প্রথমেই রওনা দিন মাধবপুর লেক। যেতে সময় লাগবে প্রায় ১ ঘন্টা। চারপাশে চা বাগান দেখতে দেখতেই মাধবপুর লেকের কাছে চলে যাবেন। কিছুটা হেঁটে চা বাগানে ঢাকা সবুজ পাহাড় ঘেরা অপূর্ব মাধবপুর লেকের দেখা পাবেন। মাধবপুর লেকে ঘন্টাখানেক সময় কাটিয়ে চলে যান লাউয়্যাছড়া জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখতে।
লাউয়াছড়া উদ্যান একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ২৫০ হেক্টর আয়তনের এই উদ্যানে প্রায় ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। ছাত্র ও বাচ্চাদের জন্যে প্রবেশ টিকেট মূল্য ২০ টাকা, প্রাপ্ত বয়স্ক দর্শনার্থীদের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আধা ঘন্টা, এক ঘন্টা ও তিন ঘন্টার ৩টি ভিন্ন ভিন্ন ট্রেইল রয়েছে। পছন্দমত কোন ট্রেইলে ঘুরে দুপুরের মধ্যে ফিরে আসুন শ্রীমঙ্গল শহরে। লাউয়াছড়া থেকে আসার পথেই পড়বে বধ্যভূমি-৭১, চা বাগান, টি রিসোর্ট , লেবু রাবার ও আনারস বাগান। দুপুরে খেয়ে চলে যান শহরের কাছেই সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা দেখতে। হাতে সময় থাকলে বা অন্য কোন স্থানে যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলে পড়ন্ত বিকেল হাইল হাওরে কাটাতে পারেন।
বর্ষায় পানি ভর্তি হাওর বা শীতে অতিথি পাখির দেখা মিলবে এইখানে। চিড়িয়াখানা বা হাওরে যাবার পরিকল্পনা না থাকলে বাংলাদেশ চা গবেষনা ইনস্টিটিউট (Bangladesh Tea Research Institute – BTRI) ঘুরে দেখুন। বিকেলে হাতে সময় থাকলে লালটিলা পাহাড়েও যেতে পারেন। সাত রঙের চা খেতে চাইলে চলে যান আদী নীলকন্ঠ টি কেবিনে (Adi Nilkantha Tea Cabin)। তার কাছেই মনিপুরী পল্লী থেকে মনীপুরী শাড়ী, শাল সহ অনেক কিছুই কিনতে পারবেন। চা পাতা কিনতে শহরের স্টেশন রোড থেকে কেনাটাই ভালো হবে। এইসবকিছু করতে হবে আপনার হাতের সময় অনুযায়ী। আপনি চাইলে যেকোন দর্শনীয় স্থান যুক্ত কিংবা বাদ দিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজিয়ে নিবেন।