ঘুরে আসতে পারেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর শিমুল বাগান ও নীলাদ্রি লেক থেকে

শীতের শেষে, ঋতু রাজ বসন্তকে উদযাপন করতে ঘুরে আসতে পারেন সুনামগঞ্জের, তাহিরপুর শিমুল বাগান থেকে।ফাল্গুণের লাল শিমুল ফুল যেন বসন্তের বার্তা বয়ে আনা এক কোকিল পাখি । শিমুল ফুল এক দিকে যেমন মানুষের নজরকাড়ে অন্যদিকে মানুষের হৃদয়কে আন্দোলিত করে৷ বছরের শুধু এই সময়টাতেই শিমুল গাছের ডালে ডালে লাল আগুনের ঝলকানি দেখা যায়। পুরো শিমুল বাগান ছেয়ে যায় শিমুল ফুলে। সেই সাথে শুনতে পারবেন কোকিল পাখির কুহু কুহু ধ্বনি। প্রকৃতি যেন স্নিগ্ধ এক লাল রংয়ের আকাশে ঢাকা

অপরুপ সৌন্দর্যের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে দেশ ও দেশের বাইরের পর্যটকদের। তাই দেরি কেন এক্ষুনি ঘুরে আসুন শিমুল বাগান থেকে। একজন স্বপ্নবাজ শিমুলের ফুলকে ভালবেসেছিলেন। স্বপ্ন পূরণের বাসনাতেই নিজের ১০০ বিঘা জমিতে লাগিয়েছিলেন ০৩ হাজার শিমুল গাছ। ২০০৩ সালে প্রায় ১৪ বছর আগের লাগানো শিমুলের চারাগাছ গুলো এখন হাতছানি দিয়ে ডাকছে সারা দেশের প্রকৃতিপ্রেমী আর ভ্রমণ পিপাসুদের। শিমুল বাগানটি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর নিকটবর্তী মানিগাঁও গ্রামে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী এই শিমুল বাগানটি শুরু করেন। বাগানের প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা, চাইলে ঘোড়ায় চড়েও বাগানটি ঘুড়তে পারবেন। শিমুল বাগানে ঠিক পাশে রয়েছে এই জাদুকাটা নদীটি যা সুনামগঞ্জ জেলার বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে বয়ে চলছে। এই জাদুকাটা নামের পেছনে একটা ইতিহাস রয়েছে।নদীর তীরে মা তার শিশু জাদুকে কোলে নিয়ে এই নদীর মাছ কাটছিলেন।

একপর্যায়ে অন্যমনস্ক হয়ে মাছের জায়গায় তার কোলের শিশুকে কেটে ফেলেন। পরবর্তীতে এই প্রচলিত কাহিনী থেকে নদীটির নাম হয়ে যায় যাদুঘাটা নদী।নদীর একপাশে পাহাড় অন্যপাশে দেখা যায় নীলাদ্রি লেক।তাহিরপুর ইউনিয়নের টেকেরঘাট নামক গ্রামে নীলাদ্রি লেক এর অবস্থান। এই লেকের  চমকপদ জিনিস হচ্ছে লেকের নীল পানি ছোট বড় অসংখ্য টিলা ।

এখানে যেসব পর্যটক ঘুরতে আসেন পর্যটকরা একে বাংলার কাশ্মীর হিসেবে বলে থাকেন তো বন্ধুরা যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন, যারা ঘোরাঘুরি করতে ভালোবাসেন। যদি সুনামগঞ্জে আসতে চান তাহলে এইসব জায়গা অবশ্যই ঘুরে যেতে পারেন আপনি অবশ্যই খুব বেশি ইনজয় করতে পারবেন।প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিন আর উপভোগ করুন আপনার জীবনের সেরা অনুভূতি।