শরীরে ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত ক্ষত স্থান সেরে তুলতে ভেষজও উপাদানের ভূমিকাঃ

মানুষের শরীরে যখন ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত করে তখন শরীরে অনেক জায়গায় ক্ষতর সৃষ্টি হয়। আমরা তখন এই ক্ষত বা সংক্রমনের স্থান বা জায়গা সারিয়ে তুলার জন্য নানা ধরনের অ্যান্টিবায়েটিক ব্যবহার করি আর এই অ্যান্টিবায়েটিক বেকটিরিয়ায় আক্রান্ত সংক্রমনের বৃদ্ধি ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে দেয়। আর এই সংক্রমনের জন্য অ্যান্টিবায়েটিক কিন্তু আমরা ডাক্তারের পরামর্শেই নিয়ে থাকি।


কিন্তু এই অ্যান্টিবায়েটিকও কিন্তু আমাদের শরীরের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই আমাদের উচিত যতটা সম্ভব কম অ্যান্টিবায়েটিক খাওয়া বা অ্যান্টিবায়েটিক এর বিকল্প প্রকৃতিক কিছু দিয়ে যাতে আমরা আমাদের ক্ষত স্থান সারিয়ে তুলতে পারি আর এই বিকল্প প্রাকৃতিক উপাদান গুলো যা আমাদের শরীরে অনেকটা অ্যান্টিবায়েটিক এর মত কাজ করে। আর এই প্রকৃতিক ভেষজও উপাদান গুলো আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর এই ভেষজ উপাদান গুলো হলো হলুদ, আধা, নিম পাতা, মধু,জলপাইয়ের তেল ইত্যাদি । আজকে আমরা এই ভেষজ উপাদানগুলোর প্রাকৃতিক গুনাবলি নিয়ে একটু আলোচনা করবো।

শরীরে ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত ক্ষত স্থান সেরে তুলতে ভেষজও উপাদানের ভূমিকাঃ


১. হলুদ
আমাদের সবার পরিচিত রান্নার মসলা হলুদ আর এই হলুদের মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক এর বিভিন্ন উপাদান। আর এই উপাদান গুলো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে কাজ করে ব্যাপকভাবে। নিয়মিত কাচা হলুদ পানিতে বিজিয়ে পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই হলুদ আমাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ হলে তার প্রতিরোধেও ভালবাবেকাজ করে।


২. আদা
প্রচীন কাল থেকে আদা আমাদের উপমহাদেশে বিভিন্ন রোগের ওষদ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আর এই আদা শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও আদা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধে আদা খুব ভালো কাজ করে এটি পেটের গ্যাস কমাতেও অনেক কাজ করে।


৩. নিম পাতা
নিমের পতার মধ্যেও রয়েছে প্রকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এটি মুখের ভিতর ব্রণ তৈরির ব্যাকটেরিয়াগুলোর সঙ্গে লড়াই করে, মুখের ভিতর বিভিন্ন সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে, দাতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগ প্রতিরোধ সাহায্য করে।


৪. মধু
মধুর গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না । মধু একটি ভালো মানের এন্টিবায়েটিক আর এই নিয়মিত সেবন কররে নানান রোগবালাই থেকে মুক্তি মিলে। নিয়মিত মধু খেলে আপনার শরীরের থেকে অতিরিক্ত মেদ,বুরি কমে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হওয়াকে বাধা প্রদান করে।


৫. জলপাইয়ের তেল
জলপাইয়ের তেলও ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান। এগুলো ত্বকের সংক্রমণ কমায়। নিয়মিত জলপাই এর তেল শরীরে মাখলে ত্বক সুন্দর হয়।