পাকস্থলিতে ক্যানসার আক্রান্তের লক্ষণ : পেটের পীড়ায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে বর্তমানে এমন অনেক মানুষ রয়েছ। কিন্তু পেটের এই পীড়ায় আক্রান্ত মানুষ গুলো যদি সঠিক সময়ে ডাক্তারের না যায় বা কিকারনে তার পেটের পীড়ায় ভুগছেন তার উপসর্গ সমন্ধে জানা উচিৎ। যদি সময়মত ডাক্তারের কাছ পরামর্শ না নেয় তাহলে পাকস্থলিতে ক্যান্সারের ঝুকিতে পরতে পারেন।
আমদের পাকস্থলী আমাদের খাদ্যনালির সাথে সরাসরি সংযুক্ত, এটি অনেকটা থলের মতো, যার ফলে আমদের খাবারের সাথে পাকস্থলির বিরাট সম্পর্ক আছে। যখন পাকস্থলিতে এই রকমে ক্যানসার হয় বা হয়ে যায় তখন পাকস্থলীতে কিছু উপসর্গ বা সমস্যা দেখা যায় । অনেক বিষেশজ্ঞ ডাক্তার বলেন, আমাদের কাছে রোগীরা আসে এই একে বারে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার পর যখন সত্যি কথা বলতে আমাদের হাতে রোগী বাঁচানোর জন্য আর কিছু থাকে না। আর পাকস্থলিতে ক্যানসার আক্রান্ত হলে কিছু কমন উপসর্গ দেখা যায় যেমন বুকে জ্বালাপোড়া করা,বমি করা,খাবারে অরুচি ইত্যাদি। যারা একটু সচেতন তারা প্রথম দিকে এই লক্ষণ গুলো নিয়ে আমাদের কাছে আসে।
পিইউডি বা পেপটিক আলসার বা ডিসপেপসিয়া, এগুলোর সাথে আমরা গুলিয়ে ফেলি; সঞ্চালকের এ কথা জবাবে ডা. লুবনা মরিয়ম বলেন, অবশ্যই। এ কারণে রোগীরা প্রথম দিকে সে রকমই ভাবে যে অ্যাসিডিটির প্রবলেম বা গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হয়েছে, ওষুধ খায়।
পাকস্থলিতে ক্যানসার আক্রান্তের লক্ষণ গুলো কি কি ?
তো হার্ট বার্ন হচ্ছে, পেটে জ্বালাপোড়া হচ্ছে, অল্প খেলে পেটটা ভরা ভরা লাগছে অথবা হজম হচ্ছে না, তার ঠিকমতো টয়লেট হচ্ছে না; আর যেটা হয় অল্প খেলেই পেটটা ফুলে যাচ্ছে। এ রকম একটা অনুভূতি হয় তাদের ক্ষেত্রে। তার সব লক্ষণই খাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, আমরা তো জানি খাবারটা ওখানে গিয়ে জমা হয়। তো আলসারেশন যখন হয়ে যায় বা ক্যানসার যখন হয়, তখন পাকস্থলীতে যে লেয়ারগুলো আছে—আমাদের পাকস্থলী আসলে পর্দার মতো থাকে ভেতরে, যখন ওখানে ঘা হয়, তখন কিন্তু ব্যথাও করে। খেলেই তখন দেখা যায় অনেক ব্যথা করছে। কারণ, আলসার সেখানে ইনজুরি করছে। এই ব্যথাগুলোর কারণে রোগীরা আমাদের কাছে আসে।
বিষেশজ্ঞরা আরও বলেন, এটা কমন সিম্পটম, অন্যান্য সিম্পটমের সঙ্গে এটা মিলে যায়, মানুষ কনফিউজড হয়ে যায় ক্যানসারের কথা আমরা অনেক পরে চিন্তা করি। তার আগে চিন্তা করি আমার আলসার হলো কি না, একটু অ্যান্টি-আলসার খেয়ে দেখি, ট্রায়াল দিয়ে দেখি এক মাস দুমাস। এ রকম করতে করতে ক্যানসারটা অ্যাডভান্স হয়ে যায়। আর পাকস্থলীর ক্যানসার বড় একটা জিনিস। পাকস্থলীটা এমন কেন, আপনি যদি না খান ছোট হয়ে যাবে, আবার খেতে থাকলে বড় হতে থাকে। এটা ফিক্সড সাইজ নয়। সাইজটা ছোট বড় দুরকম হতে পারে। একজন মানুষ যত বেশি খাবে, তার স্টোমাক বড় হতে থাকবে, তার চাহিদা বাড়তে থাকবে এবং তার অ্যাসিডিটির যে সমস্যাগুলো খাবারের পরিমাণের সাথে বাড়তে থাকবে।