বর্তমানের সকল সুবিধার দুনিয়া তে সবাই সুবিধা বাধি। যে কাজে বেশি সুবিধা হয় সেই কাজ টাই করতে মানুষ বেশি উৎসাহী। তেমনি মহিলারা সময়সাপেক্ষের কারণে ত্বকের যত্ন ছেড়ে দেয় ক্যামিকেল এর উপরে। অনেক সময় দেখা যায় এই ক্যামিকেল প্রোডাক্ট সাময়িকভাবে আমাদের সৌন্দর্য দিলেও কোনো স্থায়ী সমাধান দেয় না। মেকাপ করলেও তা ফুটে উঠে। এক্ষেত্রে দরকার ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করা। তেমনি একটি সহজ ঘরোয়া উপাদান হলো বিটরুট।ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন এ,সি, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন সমৃদ্ধ এই সব্জি তে রয়েছে ত্বকের যত্ন নেয়ার আশ্চর্যরকম ক্ষমতা। ত্বকের পরিচর্যা হতে শুরু করে ত্বকের পুষ্টি উপাদান পূরণে এই সব্জির রয়েছে ধারুণ ক্ষমতা। যারা কম সময়ে ত্বকের পরিচর্যা, সৌন্দর্য, ও উজ্জ্বলতা পেতে চান তারা এই বিটরুটের সাহায্য নিতে পারেন। আসুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে বিটরুটের সহায়তা।
১।আমাদের মুখের মধ্যে সকল অঙপ্রতঙ্গ গুলোই সুন্দর। এক একটা কে ছাড়া আসোলেই অচল। তবে ঠোঁঠ হলো তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর একটি অঙ্গ। আর এই ঠোঁঠের যত্নে আমরা অনেক কিছুই ব্যবহার করি ঠোঁঠ কে সুন্দর রাখার জন্যে। তেমনি ঠোঁট কে সুন্দর রাখার জন্যে বিটরুট আমাদের অনেক ভাবে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি রাতে নিয়মিত একটি কাজ করতে পারেন।
রাতে শোয়ার আগে বিটরুটের রস পরিমাণ মতো নিহে ভালভাবে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। প্রত্যেকদিন রাতে এই কাজ টি করুন। দেখবেন ঠোঁট হয়ে গেছে গোলাপি। পাশাপাশি ঠোঁটের যত্ন ও হবে।
২।আমরা আগেই জেনেছি বিটরুটে আছে ভিটামিন সি। যা আমাদের ত্বকে যেকোনো দাগ থেকে মুক্তি দেয়। আর ত্বকে দাগ মুক্ত হলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে। আর ত্বকের কোষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে আপনি সহজ ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। বিটরুটের রস পরিমাণ মতো একটি বাটিতে নিয়ে তুলার বলের সাহায্যে মুখের উপর ভালভাবে ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত ম্যাসাজ করুন। দেখবেন মুখের দাগ মিলিয়ে গেছে। ত্বকের উজ্জ্বলতা আর ঝেল্লা ফিরে এসেছে। আর ত্বকে পুষ্টি উপাদান ফিরে পেয়ে ত্বকের কোষের পরিমাণ বেড়ে যাবে। আর ত্বকে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যাবে।
৩।আজকাল যেহেতু বয়সের আগে ত্বকের ছাপ আগে বেড়ে যায় তাই অনেকে চায় ত্বকের বয়স কমাতে। এর জন্যে অনেক অনেক উপায় অবলম্বন করেন। তবে জেনে অবাক হবেন এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্যে এই বিটরুট বিশেষভাবে কাজ করে। একটি মাঝারি কিংবা ছোট আকারে বিটরুট নিয়ে সেটাকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। অর্থাৎ আপনার ত্বকে যেটুকু প্রয়োজন আর কি। এবার ব্লেন্ড করা বিটরুটের রস বাটিতে নিয়ে তুলার বলের সাহায্যে ত্বকের উপর ৫ থেকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত করতে না পারলেও সপ্তাহে ২ থেকে ৩বার এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন। দেখবেন ত্বকের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এর মান বেড়ে যাবে। আর ত্বক টান টান হবে। যাতে আপনার বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স বাড়ার কোনো লক্ষণ ই দেখা যাবে না।
৪।ত্বক আদ্রতা কিংবা শুষ্ক। বর্তমানের অনেকের ই এই সমস্যা নিয়ে অভিযোগ বেশি। আর শীতকাল আসলে তো মনে হয় ত্বকের উপর খড়াভাব দেখা দিয়েছে। তাই ত্বক একেবারে ফেটে চৌচির হয়ে যায়। ত্বকের আদ্রতা কমে গেলে এই সমস্যা বেশি হয়। আর ত্বকের আদ্রতা কমে গেলে এমনিতেও চিন্তা হয়। অর্থাৎ ত্বকে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই নিয়মিত পান করতে পারেন বিটরুটের রস। এটি আপনার শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করবে।
যারা সাধারণত ডায়েট করুন তাদের চিন্তা করার দরকার নেই। কেননা ডায়েত চার্টে ও থাকে নিয়মিত বিটরুটের রস খাওয়ার পরামর্শ। তাই বিটরুটের জুস বানিয়ে খান ত্বকের সমস্যার সমাধান পেয়ে যান।
আমরা জানতে পারলাম বিটরুটের ব্যবহার। যারা আগে জানতাম না তারা আজকেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। বিটরুটের রস যেমন খাওয়া যায় তেমনি ত্বকে ব্যবহার করে ত্বকের সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। যেহেতু খুব সহযে ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন সেহেতু ক্যামিকেল এর পরিবর্তে এই বিটরুট ব্যবহারের পরামর্শ দেব।