মুখের মধ্যে একটা ব্রণ হলে বা ত্বকে কোন সমস্যা হলে আমরা কত না চিন্তা করি, একটা ব্রণ এর দুশ্চিন্তা করতে করতে একটা ব্রণ এর জায়গায় দুই তিন টা ব্রণ বানিয়ে ফেলি।অথচ হাতের কাছের নিমপাতার ব্যবহার আমাদের খুবই সাহায্য করে।
নিম পাতার ব্যবহার অনেক প্রাচীন কাল থেকে, নিমপাতা অনেক গুণ সম্পন্ন। প্রাচীনকালে সকলের ত্বকের সমস্যা দূর করতে নিমম পাতা ব্যবহার করতেন।ঔষধি গুণাবলি ছাড়াও নিমপাতা রূপচর্চায় ব্যবহার করা হয়।অনেক প্রসাধনী তে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়। শুধু নিম পাতা না গাছের ডাল বা বাকল সবই উপকারী।নিম পাতার ব্যবহার করে ত্বকের জ্বালা কমে যায়।
নিম পাতা সহজে সংগ্রহ করে রাখা যায়।শুকিয়ে নিম পাতা রাখা হয়।এতে শুকানো নিম পাতা গুড়া করেও অনেক ফেইস প্যাক তৈরি করা যায়।তাই নিম পাতা খুবই উপকারী পাতা। এতে সব ভাবে ব্যবহার করা যায়।
১.নিম ত্বকের তেলের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে,কোলাজেন বৃদ্ধি করে এবং ব্রণের কারণে হওয়া দাগ কামতে ওও সহায়তা করে।দাগ দূর করতে নিম পাতা অন্যান্য। ত্বকের চুলকানিতে ও নিম পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
ব্রণের সমস্যা হলে নিম পাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত। নিমপাতার পাউডার, গোলাপ জল এবং লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে শুকায়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এটি সপ্তাহে দুই দওন ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হবে।
২.নিয়মিত নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেষ্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও স্কিনটোন ঠিক হয়।তবে হলুদ ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলা ভালো। নিম পাতার চেয়ে হলুদ এর পরিমাণ কম হবে।
৩.নিমের থেকে প্রচুর ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি এডিস থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত সিদ্ধ করে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের দাগ দূর হবে।
৪.নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী।তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর জুড়ি মেলা ভার।নিম পাউডারের সাথে তরল দুধ মিশিয়ে।পেস্ট তৈরি করুন। এবার কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে দিন। মুখমও ঘাড়ে লাগান শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এতে করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৫.কয়েকটি নিমের পাতা, অল্প হলুদের গুঁড়ো এবং ঠান্ডাতরল দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।পেস্টটি মুখের মধ্যে লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।নিম ও হলুদ ত্বর্কের সংক্রামণ দূর করে। এছাড়া তৈলাক্ত এবং ব্রণের প্রকোপ কমায়।
৬.শীতে ত্বক শুষ্ক হয়, শীতের মৌসুমে এই প্যাক টি খুবই কার্যকর।এক চামচ বেসন, এক চামচ টকদইয়ের সাথে নিম পাউডার দিয়ে ভালো করে মেশান।এই প্যাক টি মুখে ও ঘাড়ে ভালো করে লাগান।লাগানোর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এই প্যাকটি ব্রণের দাগ দূর করবে।
৭.নিম শুষ্ক ত্বকে ও খুবই ভালো কাজ করে।অতিরিক্ত সিবাম নিয়ন্ত্রণ করে। নিমে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট থাকায় তৈলাক্ত ত্বকে খুব ভালো কাজ করে।একই কারণে ত্বকে নিমের পানি ব্যবহার করতে পারেন।
নিম শুধু ত্বকের জন্য না চুলের ক্ষেত্রে ও খুবই ভূমিকা পালন করে।চুলের বৃদ্ধিও খুশকি দূর করে নিমপাতা সমাধান হিসেবে বেচে নিতে পারেন।নিম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন,এতে খুশকি দূর হবে।মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানির ভাব হয়।
নিম পাতার রস নিয়মিত মাথায় লাগালে এই চুলকানি কমে চুল শক্ত হয়,চুলের শুষ্কতা কমায় এবং নতুন চুল গজায়।নিমের পাতা খেলে আমাদের শরীরে রক্তের শুদ্ধতা বাড়ায়।তাই আমাদের জীবনে অনেক ক্ষেত্রে নিম পাতার গুরূত্ব অপরিসীম।তাই আমরা প্রতিনিয়ত নিম পাতার ব্যবহার করবো।