ত্বকের যত্নে চিনির ব্যবহার

চিনি আমাদের সকলের পরিচিত একটা উপাদান।প্রতিদিনের ব্যবহারিক জীবনে আমরা সকলে চিনি ব্যবহার করে থাকি কিন্তু কখনো কি চিন্তা করেছেন এই চিনি আমাদের ত্নকের জন্য কতটা উপকারী??হ্যাঁ চিনি এমন একটা উপাদান যা আমাদের হাতের নাগালের মধ্যে থাকে আর এই চিনির মাধ্যমে আমরা ত্বককে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারি।ত্বকের যত্নে চিনির কোন বিকল্প নেই।আর চিনি এমন একটা উপাদান যা আমাদের সকলের ঘরে থাকে যার কারণে চিনি কেনার জন্য আলাদা করে খরচের প্রয়োজন পড়ে না।নিজের রূপ সবাই নিজে হাতে বানিয়ে নিতে চাই  আর এই রূপকে আরো উজ্জ্বল করে গড়ে তুলতে পারেন নিজের হাতে চিনির সাহায্যে বিভিন্ন ফেস প্যাকের বানানোর মাধ্যমে। মুখ থেকে শুরু করে সারা শরীরে যত্নের জন্য একটুখানি চিনি যথেষ্ট।খানিকটা নিয়ে নিন আর ব্যবহার করুন রূপচর্চায়।

চিনির উপকারীতা:ত্বকের কালো দাগ দূর করতে চিনি অতুলনীয়। ত্বকে জমে থাকে বিভিন্ন ধরণের মরা দাগ দূর করতে চিনির জুড়ি মেলাভার।ঠোঁট কে নরম রাখা,স্ট্রেচ মার্ক দূর করা, ত্বকে উজ্জ্বল করা থেকে সকল ক্ষেত্রে চিনির উপকারীতা অতুনলীয়। ত্বকের তৈলাক্তার ভারসাম্য রক্ষা করে, চিনির দানা বিভিন্ন কাটা ছেঁড়া তে প্রলেপ লাগালে তা অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। চিনি বিষন্নতা দূর করতে ও সাহায্য করে আর মন বিষন্ন থাকতে তা ভাব মুখের মধ্যে ও পরিলক্ষিত হয় তাই চিনির সাহায্যেও এই বিষন্নতাও দূর করা যায়। ত্বকের যত্নে চিনির গুণের শেষ নাই এই সাম্য চিনিকে ব্যবহার করে আমরা আমাদের রূপের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলতে পারি।

ত্বকের উজ্জ্বল ফেরাতে:সব মানুষ চাই নিজের ত্বক উজ্জ্বল থাকুক কিন্তু বয়সের সাথে সাথে তা কমতে থাকে। শুধু বয়সের সাথে না বিভিন্ন সমস্যার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। এই উজ্জ্বলতা ফেরাতে চিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।কয়েক ফোটা অভিল ওয়েল আর এক চামচ চিনি মিশিয়ে মুখের মধ্যে লাগিয়ে রাখুন।১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন, ধোওয়ার সময় স্ক্রাব করতে পারেন। এতে করে ত্বক নরম হয়।

মৃত কোষ তোলা:মৃত কোষ গুলো ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই আমাদের উচিত যে কোন উপায়ে ত্বকের এইসব মৃত কোষগুলোকে তুলে ফেলা। আর এইসব মৃত কোষ তোলার ক্ষেত্রে চিনি অন্যতম।অলিভ ওয়েল বা কয়েক ফোঁটা নারকেল তেলের সাথে চিনি মিশিয়ে মুখের মধ্যে স্ক্রাব করুন।যতক্ষণ চিনি গলে না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত স্ক্রাব করতে থাকুন। চিনি গলে যাওয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন এতে করে দেখবেন ত্বকের মৃত কোষ গুলো উঠে গিয়ে ঝলমলে উজ্জ্বল হবে ত্বক।

ঠোঁট ফাটায় চিনির ব্যবহার:ফাটা ঠোঁটের কারণে মুখের সৌন্দর্য কমে যায়। তাই ঠোঁট ফাটা কে দূর করতে চিনি গুরূত্বপূর্ণ উপাদান। চিনির কেরামতিতে আটকাতে পারেন ঠৌঁট ফাটার সমস্যাও।বিটের রস আর চিনি লাগিয়ে নিন ঠোঁটে। নরম ও লালচে হওয়ার পাশাপাশি ফাটবেও না ঠোঁট।

স্ট্রেচ মার্ক তুলতে:ওজন কমলে বা বাড়ার পরে ত্বকের মধ্যে স্ট্রেচ মার্ক পড়ে।প্রেগন্যান্সির সময় ও এমন দাগ দেখা যায়।এমন সমস্যা দেখা দিলে কফি, চিনি,আমন্ড তেল ও মধু মিশিয়ে নিয়মিত মালিশ করুন। ধীরে ধীরে হালকা হবে স্ট্রেচ মার্ক।

হাত কোমল রাখতে:বয়সের সাথে সাথে বয়সের চাপ যেমন মুখে পরিলক্ষিত হয় তেমনি হাতের মধ্যে ও এই চাপ দেখা যায়।হাত যাতে আগের অবস্তা মানে তরুণ দেখা যায় তারজন্য এককাপ ব্রাউন সুগারের সাথে সিকি কাপ অলিভ ওয়েল মেশান,তাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে ভেতরের তরল অংশটা মিশিয়ে দিন এইবারে মিশ্রণ টা হাতের মধ্যে হালকা স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন।ধোওয়ার পর হাতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

তবে যা করবে সব সীমিত আকারে, চিনি বেশি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো না। চিনি বেশী খেলে লিভারের ক্ষতি হয়, ওজন বেড়ে যায়।