সুন্দর, কালো, ঘন, মসৃণ চুল প্রায় সব বয়সের মানুষের বেশি পছন্দ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই চাই নিজেদের সুন্দর এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে অর্থাৎ চুলের রং সাদা হয়ে যাচ্ছে।
অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে যাওয়ার আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর একটি অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। তাই অনেকেই কেমিক্যালযুক্ত কালার লাগিয়ে চুলের এবং মাথার স্কাল্পে ক্ষতিসাধন করে আসছেন।
বন্ধুরা তাই চুল পাকা রোধ করতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি অত্যন্ত কার্যকরী ঘরোয়া রেমিডি আপনাদের শেয়ার করছি । যেটি মাত্র 7 দিন ব্যবহারেই আপনার সাদা চুল কালো হয়ে উঠবে এবং নতুন ভাবে চুল পেকে যাওয়া সম্পূর্ণরূপে রোধ হবে।
তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে অত্যন্ত কার্যকরী ঘরোয়া রেমেডি।
অল্প বয়সে চুল পাকা রোধের অত্যন্ত কার্যকরী ঘরোয়া রেমিডিঃ
মেথির রেমেডিঃ
ব্যবহৃত উপকরণঃ
৩ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো।
২ টেবিল চামচ আমলা পাউডার।
১ কাপ পানি
২ টেবিল চামচ অপরিশোধিত নারিকেল তেল।
মেথির রেমিড়ি তৈরীর প্রক্রিয়াঃ
প্রথমে একটি বাটিতে ১ কাপ পানি নিয়ে তাতে ৩ টেবিল চামচ মেথি অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা ভিজিয়ে নিন।
এরপর মেথি ব্লেন্ড করে নিন।
ব্লেন্ড করা মেথির সাথে আমলা পাউডার এবং নারিকেল তেল যোগ করে ভালোভাবে গুলিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে দ্রুত সময়ে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি রেমেডি।
চুলের অকালপক্কতা রোধে মেথির রেমেডি ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
পরিষ্কার মাথার স্কাল্পে, চুলের গোড়ায় এবং সম্পূর্ণ চুল মথির রেমেডি ভালোভাবে আচঁড়ে আচঁড়ে লাগিয়ে নিন।
5 থেকে 7 মিনিট আলতোভাবে আংগুল বা ব্রাশের সাহায্যে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন।
এরপর একটি পরিষ্কার কাপড় বা তোয়ালে কুসুম গরম জলে ভিজিয়ে নিয়ে চুল সমেত মাথা বেধে নিন অথবা ক্যাপ পড়ুন ।
১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
এরপর প্রথমে ঠান্ডা পরিষ্কার জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
কাজ করার কারণঃ
চুলের যত্নে মেথি বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, মিনারেল, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা চুলের অকালপক্বতা সম্পূর্ণরূপে দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
মেথিতে বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং আমলকিতে বিদ্যমান ভিটামিন-সি চুলের হারিয়ে যাওয়া মেলানিন ফিরিয়ে এনে চুলকে পুনরায় কালো করে তোলে এবং চুলের অকালপক্কতা রোধ করে।
বিঃদ্রঃ
১। অপরিষ্কার মাথার ত্বকে রেমিডি ব্যবহার করবেন না।
২। মাথায় এলার্জি বা ফুসকুড়ি থাকাকালীন সময়ে রেমেডি ব্যবহার করবেন না।
৩। চুল কালার করা থাকলে রেমিড়ি ব্যবহার করবেন না।
৪। রেমিডি ব্যবহারের পর পর চুল দ্রুত শুকিয়ে নেবেন।
৫। নিজের চুল এবং মাথার স্কাল্প এর জন্য উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
উপরে উল্লেখিত রেমিডি চুলের অল্প বয়সে পেকে যাওয়া সম্পূর্ণরূপে রোধ করে চুলকে ঘন কালো এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে রাখবে। স্থায়ীভাবে চুল পাকা রোধ করতে সপ্তাহে অন্তত দুবার রেমিড়িটি ব্যবহার করবেন।