ব্রণ এবং ব্রণের দাগ আমাদের সৌন্দর্যের অন্তরায়। ছোট-বড় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সের লোকেরাই ব্রণ এবং ব্রণের দাগের সমস্যায় ভুগছেন।
বাজারে অনেক উন্নত মানের প্রসাধনী থাকলেও আসল নকল বিভেদ করা যায় না। এবং সময় ও সুযোগের অভাবে পার্লারে গিয়ে রূপচর্চা করা হয় না।
তাই আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে ঘরে বসে ।
ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করে ত্বককে অতিমাত্রায় উজ্জ্বল, ফর্সা এবং চকচকে করে তোলার উপায় খুঁজছেন। আমাদের এই আলোচনাটি সাজিয়েছি এমন কিছু ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে
যা মাত্র একবার ব্যবহারেই আপনার চেহারার ব্রন ও ব্রনের দাগ দূর হবে এবং ত্বকে হয়ে ওঠবে অতিমাত্রায় উজ্জল ও ফর্সা। চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক দাগ মুক্ত, ফর্সা, উজ্জ্বল ত্বকের ঘরোয়া সহজ উপায় সমূহ।
ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল, ফর্সা ও চকচকে করার উপায়ঃ
ত্বকের ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ফর্সা আয়নার মত চকচকে করে তুলতে প্রথমেই অত্যন্ত কার্যকরী কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এর সাহায্যে ফেস মাস্ক তৈরি করে নিতে হবে।
নিম্নে কার্যকরী তিনটি ফেস মাস্ক শেয়ার করা হলো।
ফেস মাস্ক 1…
উপকরণ সমূহঃ
2 টেবিল চামচ শশার পেস্ট।
1 চা চামচ মধু।
2 চা চামচ পাকা টমেটোর রস।
2 চা চামচ চালের গুঁড়া।
1 চা চামচ এলোভেরা জেল।
উপকরণ গুলো ভালভাবে মিশিয়ে নিয়ে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফেস মাস্ক তৈরি করে নিন।
অতিরিক্ত সেনসিটিভ ত্বক সহ প্রায় সবধরনের এর জন্য এই মাস্কটি অত্যন্ত উপকারী।
এটি ত্বকের অতিরিক্ত সেনসিটিভ ভাব দূর করবে।
টমেটো এবং অ্যালোভেরার এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ সম্পূর্ণরূপে দূর করবে।ত্বকের জন্য স্কিন কেয়ার হিসেবে এই ফেস মাস্ক টি অত্যন্ত কার্যকরী।
চালের গুঁড়া এবং মধু ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে অতিমাত্রায় উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলবে দ্রুত সময়ে।
ফেস মাস্ক 2ঃ
উপকরণ সমূহঃ
2 স্লাইস পাকা পেঁপের পেস্ট।
1 চা চামচ লেবুর রস।
আধা চা-চামচ কাঁচা হলুদের পেষ্ট।
1 চা চামচ বেসন।
দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
সবগুলো উপকরণ পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে ত্বকে এপ্লাই করে ২০ মিনিট পর ধুয়ে নিন।
এই ফেইস মাস্ক টি আপনার ত্বককে গভীর থেকে অতিমাত্রায় উজ্জ্বল ফর্সা এবং চকচকে করে তুলবে।
ত্বকের পিএইচ লেভেল বাড়িয়ে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
ব্রণ, বলিরেখা, ব্রণের দাগ, বুড়িয়ে যাওয়া ভাব, ফাইন লাইন রিংকেল দূর করবে।
ত্বক কে কোমল ও মসৃণ করবে।
ফেস মাস্ক 3ঃ
উপকরন সমুহঃ
2 চা চামচ চন্দন পাউডার।
আধা চা-চামচ কাঁচা হলুদের গুড়া।
2 চা চামচ পাকা টমেটোর রস।
1 চা চামচ বিটরুটের রস।
পরিমান মত কাঁচা তরল দুধ।
সবগুলি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে অত্যন্ত কার্যকরী ফেইস মাস্ক তৈরি করে নিন।
রাতারাতি আপনার ত্বক কে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলবে।
ব্ল্যাকহেডস, সানবার্ন দূর করবে।
কোষের রক্তসঞ্চালন ক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে।
ত্বক কে সুস্থ এবং সতেজ রাখবে।
ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে ফেস মাস্ক গুলো ত্বকে ব্যবহার পদ্ধতিঃ
ফেস মাস্ক ত্বকে ব্যবহারের পূর্বে আপনার ত্বক প্রথমে ভালোভাবে পরিস্কার করে নিন।
ত্বক পরিষ্কার করার জন্য কাঁচা তরল দুধ এবং গোলাপজল খুবই কার্যকর।
এরপর পরিষ্কার তুলা অথবা মুখের ব্রাশের সাহায্যে ফেস মাস্ক এর মিশ্রন সম্পূর্ণ মুখে স্ক্রাব করে লাগিয়ে নিন।
আলতোভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ত্বক 5 থেকে 7 মিনিট ম্যাসাজ করুন।
15 থেকে 20 মিনিট ফেস মাস্ক শুকানোর জন্য সময় দিন।
শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম জলে তুলা ভিজিয়ে ঘষে ঘষে ফেসমাস্ক তুলে নিন।
সবচেয়ে সে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন।
বিঃদ্রঃ
ফেস মাস্ক এ ব্যবহৃত কোন উপাদান আপনার ত্বকের জন্য এলার্জিক হলে তা ব্যবহার বন্ধ করুন।
ফেস মাস্ক ত্বকে লাগিয়ে রোদে ধুলাবালি যুক্ত স্থানে এবং গরম স্থানে যাবেন না।
ফেস মাস্ক ব্যবহারের পর অবশ্যই ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে নিবেন।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের তোকে ফেস মাস্ক ব্যবহার করবেন না।
উপরে উল্লেখিত সকল উপকরণ ভেষজ উদ্ভিদের দোকান এবং প্রসাধনীর দোকানে পাওয়া যাবে।
দ্রুত সময়ে ত্বক থেকে ব্রন ও ব্রনের দাগ, বলিরেখা, কালো ছোপ ছোপ দাগ, ব্ল্যাকহেডস দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল, ফর্সা এবং কাঁচের মত চকচকে করতে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার ফেস মাস্ক সমূহ ত্বকে এপ্লাই করুন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসে নিজেদের ত্বকের যত্ন নিন।
ধন্যবাদ